ছবি: সংগৃহীত
ফিচার ডেস্ক
শীতের ফ্যাশনে শাল একটা বড় ভূমিকা পালন করে। শাড়ি কিংবা সালোয়ার, সঙ্গে একটা বাহারি শাল নিয়ে নিলেই ফ্যাশন বদলে যায়। শাল ব্যবহারে পিছিয়ে নেই পুরুষরাও। আর অনেকেরই কাশ্মীরি শাল পছন্দ। কিন্তু অনেকগুলো টাকা খরচ করে নকল শাল কিনে ফেললে তো মন খারাপ হবেই। তাই নকলের ভিড়ে আসল শাল চিনে নিতে সহজ কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
পোড়ানো
শালের পাড় থেকে একটি সুতা আগুনে ধরুন। এটি পুড়ে যাওয়ার পর চুলের গন্ধ বের হলেই বুঝবেন এই শাল একদমই আসল। কারণ, কাশ্মীরি একদমই প্রাকৃতিক ফাইবার, তাই এটি আপনাকে এ রকম একটি পোড়া গন্ধই দেবে। পোড়া অংশটির কোনো জেল্লাও থাকবে না।
না পুড়িয়ে পরীক্ষাশালটি খাঁটি কি না, তা পরীক্ষা করা যাবে না পুড়িয়েও। এ জন্য শালটি হাতে নিয়ে সামান্য রোদের দিকে ধরতে হবে। আর না হলে এ শালের ওপর কৃত্রিমভাবেও আলো ফেলতে হবে। শালের ওপর আলো পড়লে সামান্য একটু চকচক তো করবেই। কিন্তু অতিরিক্ত চকচক করলে বুঝতে হবে, এই শাল নকল হতে পারে। তার মানেই এতে কোনো নকল ফ্যাব্রিক যোগ করা হয়েছে।
লোম দেখে বুঝার উপায়শীতবস্ত্র থেকে লোম উঠলে অনেকেই কমবেশি চিন্তিত হয়ে থাকি। মনে করি, এতে সেই অসাধারণ শালের সৌন্দর্য কমতে পারে। এ ছাড়া সোয়েটার বা অন্যান্য উলের জিনিস থেকেও লোম ওঠে। একইভাবে কাশ্মীরি শাল খেকেও লোম উঠতেই পারে। আর এ বিষয়টি কিন্তু বেশ স্বাভাবিক। যদি দেখেন, শাল থেকে লোম উঠছে, তাহলে বুঝবেন শালটি আসল এবং মান ভালো। কারণ, প্রাকৃতিক ফাইবারে লোম ওঠাই স্বাভাবিক।
স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হয় কি নাকাশ্মীরি শাল গায়ে লাগলে যদি চুলকানি হয়, কিংবা পরে কোনো সমস্যা হয়, তবে বুঝতে হবে এই শালের সঙ্গে কোনো সিল্ক বা অন্যান্য সুতা মেশানো হয়েছে। কারণ, আসল কাশ্মীরি ফাইবার এতটাই নরম যে, তা পরলে গায়ে কখনো চুলকানি বা ব়্যাশ কোনোটাই হবে না।
সাজেদ/এএল
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন