প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৩, ১২:১৫ এএম
দেখা হয় নাই ঘরের কাছের সেই -একটি ধানের শিষের উপর একটি শিশির বিন্দু অথচ খুঁজে ফিরি অসীম সাগর, বন ও দুর্গম গিরী!
কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের ব্রিসবেন থেকে নিউ সাউথ ওয়েল্স রাজ্যের রাজধানী সিডনি ভ্রমণ ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতার ঝলক! From the window we could catch the glimpse of the sight.
যে দিকেই চোখ যায় শুধু পাহাড়, বন-জঙ্গল আর সমুদ্রের লুকোচুরী, আকাশের তুলো তুলো মেঘ যেন ছুঁয়ে যায় পাহাড়কে! তা ছাড়া এক হাজার কিলোমিটার বাই রোড ট্রুরের প্লাজ পয়েন্ট হিসেবে আমরা পেয়েছি, জায়গায় জায়গায় নেমে দর্শনীয় যা কিছু আছে উপভোগ করা! আমরা যতদূর সাধ্য তা করতে চেষ্টা করেছি! My son in law is a skilled driver as well as sharp in intelligence. Such a wonderful trip would not have been possible without his considerable support.
এই দীর্ঘ জার্নির মধ্যে বেশির ভাগ সৌন্দর্যই ছিল সমুদ্র কেন্দ্রিক আর পাহাড়ি বন-জঙ্গল পরিবেষ্টিত! কুলাঙ্গাটা আর বাইরন বে-এর সৌন্দর্য্যকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই! প্রথমদিন আমরা Coffs Harbou -এ নাইট hauled করেছিলাম এক গভীর জঙ্গলের ভেতর একটি চমৎকার বাড়িতে! তখন রাত ছিল অনেক! চরম আতঙ্ক আর suspense নিয়ে রাতের অন্ধকারে আমরা বনের ভেতরে একটা জীপ গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ি! মনে হচ্ছিল এই বুঝি বাঘ আমাদের আক্রমণ করবে কিংবা গভীর খাদে আমরা পড়ে যাব! মনে মনে ভাবছিলাম, জঙ্গলের এত ভেতরে বাসাটি নিশ্চয়ই তেমন সুইটেবল হবে না! কিন্তু বাসাটি ছিল অত্যাধুনিক সাজে সজ্জিত! রাতে কোনোমতে বাসার ভেতরে ঢুকে আমাদের স্বস্তির নিঃশ্বাস বের হলেও অন্যরকম এক ভয়ে আমার জামাই বাবাজীর নাকি রাতে ঘুমই হলো না!
আসলে বিপদের কিছুই ছিল না কেননা একটা বিখ্যাত অ্যাপ ‘এয়ার বি এন বি’-এর মাধ্যমে বাসাটি বুক করা হয়েছিল! সকালে ঘুম ভেঙে আমি যখন বাসার বাইরে চতুর্দিকে তাকাই আমার সমস্ত অনুভূতি, আমার চোখ যেন বেহেস্ত খুঁজে পেলো! বিশাল এলাকাজুড়ে বাসাটিতে থরে থরে গন্ধরাজ ফুলের গাছ এবং ফুলের সুবাসে আমি মাতাল প্রায়! কাঁঠাল চাপা ফুলের ভারে গাছ প্রায় নুইয়ে পড়েছে! বিছানার মতন ফুল মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে! অন্যদিকে দোলনায় দুলে আমি পাহাড় দেখছি! আমি কোনো রকম প্রিপারেশন ছাড়াই ঘুম ঘুম চোখে ছবি তুলে নিলাম কয়েকটা! আমাদের পরবর্তী night hauled ছিল New castle এ! এই শহরটাও চমৎকার এবং খুবই মনোমুগ্ধকর sea beach এখানে রয়েছে! যা হোক ছোট-বড় অনেক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা পৌঁছলাম সিডনিতে!
সিডনিতে ঢুকেই আমার মনে হয়েছে এটা আমাদের ঢাকা শহরের উন্নত ভার্সন! যান জট ফেস করেছি এখানে এবং তুলনামূলকভাবে ব্রিসবেনের চেয়ে অপরিষ্কার মনে হয়েছে! এখানে প্রচুর চাইনিজ, ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বসবাস করেন! সিডনিতে বাংলাদেশিদের একটা নিজস্ব এলাকা গড়ে উঠেছে, Lakemba-তে!
এখানে বাংলাদেশি সব ধরনের খাবার পাওয়া যায়! ওখানে গেলেই পরিচিত কারো না কারো সঙ্গে দেখা মেলে! আমরা ওখানে কয়েকদিন খেয়েছি! ওখানকার leg roast(goat) এর স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে!
সিডনির বিখ্যাত অপেরা হাউস, হার্বর ব্রীজ, মাদাম তুসো জাদুঘর, Sea life Sydney aquarium, Blue mountain -এসব সম্পর্কে বলার কিছুই নাই! এগুলো এতই বিখ্যাত যে, কেউ সিডনিতে বেড়াতে এসে এগুলো না দেখে ফিরে যাবে না! Blue mountain দেখতে এসে ‘Three sister’ পাহাড় যেমন দেখেছি তেমনি Scenic railway
Scenic railway
Sky Rope Way
Scenic rope way
-তে চড়ে পাহাড়ের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত অবর্ণনীয় দৃশ্য অবলোকন করেছি! কেমন করে ঝরনা বয়ে চলছে তা দেখে সত্যিই রোমাঞ্চিত হয়েছি!
সব শেষে আমরা লাপেরুজ ভিজিট করেছিলাম! এখানে মিশন-২ মুভিতে টম ক্রজ একটা গুরুত্বপূর্ণ শর্ট দিয়েছিলেন!
এই স্পটটা এতই মনোমুগ্ধকর যে, না আসলে কেউ বুঝতেই পারবে না! ঘরে ফেরার পথে আমরা মাত্র একদিন night hauled করেছিলাম port Macquarie তে! এই পথ দিয়েই আমরা চলে গিয়েছিলাম সিডনিতে।
সাজেদ/