প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২২, ১১:৪০ পিএম
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাত ধরে দেশে চা শিল্পের অভিযাত্রা শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এই শিল্পের সাথে একেবারেই সম্পৃক্ততা ছিলো না স্বদেশী কোনো শিল্পপতি বা কোম্পানীর। চা সম্পর্কে ধারণা না থাকা এবং এই অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে কৃষি নির্ভরতার কারনে চা শিল্প থেকে দূরে ছিলো বাঙালীরা। মূলত, অধিক মুনাফা লাভের আশায় এই শিল্পের প্রতি অত্যাধিক আগ্রহী হয়ে বাগান প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করে ব্রিটিশ সরকার।
১৮৫৭ সালে সিলেটের মালনিছড়ায় প্রতিষ্ঠা করা হয় দেশের প্রথম চা বাগান। এরপর একে একে এই অঞ্চলে বাড়তে থাকে চা বাগানের সংখ্যা। সিলেট অঞ্চলের প্রকৃতি, আবহাওয়া এবং টিলাভূমি চা চাষের উপযোগি হওয়ায় দ্রত সম্প্রসারিত হতে থাকে এই শিল্প। সময়ের হাত ধরে দেশে এখন চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭ টি। কিন্তু শুরতে বাগান মালিকানায় ব্রিটিশদের একক আধিপত্য থাকলেও এখন আর তা নেই। বিংশ শতাব্দির শুরুরদিকে দেশীয় মালিকানাধীন চা বাগানের ভূমি যেখানে ছিলো মোট বরাদ্দের মাত্র ১০ ভাগ, এখন সেখানে তা বর্ধিত হয়ে ৬৫.৫০ ভাগে উন্নীত হয়েছে। সীমিত পর্যায়ে চলে এসেছে দেশে বিদেশীদের মালিকানাধীন বাগানের সংখ্যা। বর্তমানে দেশে মাত্র ২০ টি বাগান রয়েছে ব্রিটিশদের। অন্যদিকে, দেশী মালিকানাধীন বাগানের সংখ্যা ১৩১ টি, আর সরকার পরিচালিত বাগানের সংখ্যা ১৬টি।
প্রথম পর্যায়ে বাগান মালিকানা
তিন ধরনের বন্দোবস্তের মাধ্যমে চা বাগানের ভূমি সংগ্রহ করা হয়েছিল। আসাম রুলসের মাধ্যমে বন্দোবস্ত দেওয়া হয় ১৩,৩২৬ একর ভূমি, ফি সিম্পল গ্রান্ট পদ্ধতির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল ২৩৪০ এবং মিরাসদারি বন্দোবস্তের আওতায় দেওয়া হয় ১০, ৯৪৬ একর ভূমি। প্রথম চা চাষের জন্য ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়ার যে পদ্ধতি চালু করা হয় তাতে ১শ থেকে ১০ হাজার একর জমি ৪৫ বছরের জন্য ইজারা দেওয়ার বিধান রেখে ব্রিটিশ সরকার আইন প্রণয়ন করে। শুধু তাই নয় বনভূমি ভেদে ৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত ইজারা নেয়া ভূমির খাজনাও মওকুফ করার বিধান রাখা হয় আইনে। একর প্রতি ১ টাকা ২ আনা খাজনার বিধান ছিলো। ১৮৫৪ সালে সেই আইন সংশোধন করে ইজারার মেয়াদ ৯৯ বছর বর্ধিত করা হয় এবং সেই সাথে পরবর্তী ৭৪ বছরের জন্য প্রতি একর ভূমির খাজনা নির্ধারন করা হয় মাত্র ৬ আনা। জমি ইজারা নেয়ার এই সহজ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্রিটিশরা সহজেই চা চাষের আবাদযোগ্য অধিকাংশ ভূমি বন্দোবস্ত নিয়ে নেয়।
ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার প্রনীত ‘এ স্টোটিস্টিকেল একাউন্ট অব আসাম (১৮৭৯, লন্ডন) গ্রন্থে তৎকালীন সিলেট জেলায় সে সময়ে ২৩ টি চা বাগানের উলেখ রয়েছে। তারমধ্যে সর্বাধিক ডব্লিউ ফলি এসকোয়্যারের মালিকানাধীন ছিলো ৮টি বাগান। বাগানগুলো হচ্ছে, লালিছড়া (১৮৫৮), উত্তরগাছ (১৮৫৮), পুটিছড়া (১৮৬২), কালাগুল (১৮৬২), আমিছড়া (১৮৬৩), টিলানগর (১৮৬৩), ফতেহপুর (১৮৬২), চিকনাগুল (১৮৭৩)। ৪টি বাগান ছিলো মের্সাস এম.নেইল এন্ড কো: ম্যানেজিং এজেন্টস, কলকাতার মালিকানায়; বাগানগুলো হ”েছÑপাথারিয়া (১৮৬৩), মাধবছড়া (১৮৬৫), তারাদরম (১৮৬৫), লক্ষীছড়া (১৮৭৩)। এছাড়া ধারাভর লিমিটেড কোম্পানীর ধারাভর চা বাগান (১৮৬৪), সিলেট টি কোম্পানী লিমিটেড-এর মালনিছড়া (১৮৫৭), ইস্ট ইন্ডিয়া টি কোম্পানীর টিলাগড় (১৮৬১), সি.বি জেনিংস এসকোয়্যারের চেরাগাঁও (১৮৫৯), এবং বড়ছড়া (১৮৬৩), লাক্কাতুড়া টি.কোম্পানীর লাক্কাতুড়া (১৮৬২), ল্যান্ড মর্টগেজ ব্যাংকের মৌরাপুর (১৮৬৩) এবং শাহবাজপুর (১৮৬৩), ডব্লিউ আর হাডসন এসকোয়্যারের সোনাইছড়া (১৮৬২), মেসার্স বুকানন এন্ড ডব্লিউ কাউস্মিথ-এর ঢুলাছড়া (১৮৭৪), মেসার্স স্টিল এম ইনটোস এন্ড কোম্পানীর বাগান ছিলো লুবাছড়া (১৮৭৪)।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১৮৭০ সালের পূর্বের কোনো বাগানের মালিকানার সাথেই সম্পৃক্ততা নেই বাঙালিদের। পরবর্তী পর্যায়ে বাঙালিরা চা চাষের প্রতি মনোযোগি হয়ে উঠে। ঊনবিংশ শতাব্দির শেষদিকে যখন চা চাষে মনোনিবেশ করেন ধর্নাঢ্য বাঙালিরা ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যায়। বিদেশী উদ্যোক্তরা চা চাষের উপযোগি পতিত প্রায় সকল টিলাভূমি বন্দোবস্ত নিয়ে নেয়ায় বাঙালিদের ভাগে পড়ে আয়তনে ছোট, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবহার জমি। এজন্য ঔপনিবেশিক সরকারের স্বদেশীদের প্রতি পক্ষপাতিত্বও কাজ করেছে।
বাঙালি মালিকানার প্রথম পর্যায়
ঊনবিংশ শতাব্দির শেষদিক থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দির প্রথম দশক পর্যন্ত সময়ে অনেক বাঙালি এই শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত হন। তৎকালীন সিলেট জেলার হবিগঞ্জ, সিলেট এবং মৌলভীবাজারের চা বাগানসমূহের মধ্যে শুধুমাত্র সিলেট এবং মৌলভীবাজারের কিছু সংখ্যক বাগানের মালিকানায় বাঙালীদের সম্পৃক্ততা ঘটে। ১৯১০ সালে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ি বাগান মালিনায় যেসব বাঙালির নাম পাওয়া যায় তারা হচ্ছেন, জোয়ারমল তুষ্ণিয়াল, বৈকুণ্ঠচন্দ্র গুপ্ত, মাং বকত, করিম বকস, গোলাম রব্বানি, আবদুল মজিদ, বৈকুণ্ঠনাথ শর্মা, সুখময় চৌধুরী, সৈয়দ আলী আকবর খন্দকার, মৌলভী আলী আমজদ খান ও সূর্যমনি দাস। পরবর্তী পর্যায়ে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে বাঙালী মালিকদের সংখ্যা এবং বাগান। তবে, বিংশ শতকের প্রথম তিন দশক পর্যন্ত তা ছিলো একেবারেই নগন্য। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯২৯ সালে সিলেট অঞ্চলে চা চাষের ভূমির মাত্র ১০ ভাগ রয়েছে দেশীয় মালিকানায়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগ এবং ভারত পাকিস্তান নামের পৃথক দুটি রাষ্ট্র উদ্ভবের ফলে অনেক ব্রিটিশ নাগরিক ক্রমান্বয়ে বাগান মালিকানা বিক্রি করতে থাকে।
আধিপত্য কমে যাওয়া, বাগানে চৌয্যবৃত্তি বৃদ্ধি এবং ম্যানেজারদের সাথে সমন্বয়হীনতার কারনে এই অঞ্চল থেকে একে একে বাগান বিক্রি করতে থাকে তারা। এছাড়াও লাভের টাকা নিজেদের দেশে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কর পরিশোধ করার বিধান চালু হওয়ার কারনেও অনেকে চলে যায় বাগান বিক্রি করে। কারন তাতে লাভের মাত্রা কমে আসে। সময়ের হাত ধরে সর্বশেষ ব্রিটিশ মালিকানাধীন জেমস ফিনলে কোম্পানীর আমরাইল, বালিশিরা, ভাড়াউড়া, দাড়াগাঁও, ডেনস্টন, রাজঘাট ও রশিদপুর এই ৭টি বাগান বিক্রি হয় ২০০৪ সালে। বাগানটি ক্রয় করেন আজম জে চৌধুরীসহ ৭ শিল্পপতি।
বাগান মালিকানায় দেশিয় আধিপত্য
বদলে যাচ্চাছে বাগানের মালিকানা। এক সময়ে যেখানে আধিপত্য ছিলো বিদেশী কোম্পানী এবং ব্যক্তিদের এখন সেখানে আধিপত্য দেশি মালিকদের। দেশের অধিকাংশ চা বাগানই এখন বাঙালীরা পরিচালনা করছেন। একসময় যেখানে ব্রিটিশ ছাড়া বাঙালীদের কোনো মালিকানা ছিলোনা বাগানের, এখন সেখানে তার ঠিক উল্টো চিত্র। অধিকাংশ বাগানের মালিকানা এখন চলে এসেছে বাঙালীদের হাতে। দেশের ব্রিটিশদের মালিকানাধীন বাগানের সংখ্যা মাত্র ১৬টি। তারমধ্যে ডানকান ব্রাদার্সের ১৬ টি, দেউন্ডি গ্রুপের ৩টি এবং নিউ সিলেট টি কোম্পানীর নামে ব্রিটিশদের বাগান আছে একটি। ডানকান ব্রাদার্সের মালিকানাধীন বাগানগুলো হচ্ছে চাকলা পুঞ্জি, আমু, নালুয়া, চানপুর, আলীনগর, শমসের নগর, চাতলাপুর, ইটা, করিমপুর, পালাকান্দি, লংলা, রাজকী, সিলুয়া, হিংগাজিয়া, মাইজদিহি এবং লস্করপুর। দেউন্ডি গ্রুপের বাগানগুলো হচ্ছে মৃতিঙ্গা, দেউন্ডি ও লালচান্দ এবং দি নিউ সিলেট টি কোম্পানীর মালিকানাধীন রয়েছে ফুলতলা চা বাগান।
বাংলাদেশ সরকারের মালিকানায় রয়েছে ১৫টি চা বাগান। এরমধ্যে ন্যাশনাল টি কোম্পানী (এনটিসি) পরিচালনা করছে ১৩টি বাগান এবং বাংলাদেশ টি বোর্ডের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে ২টি বাগান। এনটিসি পরিচালিত বাগানগুলো হচ্ছে, পাত্রখলা, কুরমা, চাম্পারাই, মদনমোহনপুর, মাধবপুর, জগদীশপুর, তেলিয়াপাড়া, চণ্ডিছড়া, লাক্কাতুরা, প্রেমনগর, বিজয়া, পারকূল ও পটিয়া। চা বোর্ডের নিয়ন্ত্রনাধিন বাগান দুটি হচ্ছে, নিউ সমনবাগ, পাথারিয়া এবং দেওড়াছড়া।
সরকারের মালিকানায় যাওয়া বাগানগুলো একসময় ব্যক্তি মালিকানায় ছিলো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশভাগের সময় অনেক বাগান পাকিস্তানীদের হাতে বিক্রি করে বিট্রিশরা চলে যায়।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পাকিস্তানী মালিকরা ফিরে না আসায় তাদের মালিকানাধীন একইভাবে একাধিক হিন্দু বাগান মালিক ওপারে চলে যাওয়ায় সেই বাগানগুলোও পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই ১৬টি বাগান ছাড়া অন্য ১৩১টি বাগান স্বদেশীরা পরিচালনা করছেন। এই বাগানগুলো প্রাইভেট কোম্পানী ও ব্যক্তিমালিকানায় রয়েছে। শিল্পপতি সাফওয়ান চৌ১ধুরীর কোম্পানীর মালিকানায় রয়েছে সর্বাধিক ৮ টি বাগান। আর শিল্পপতি রাগীব আলীর মালিকানায় থাকা বাগানের সংখ্যা ৫ টি।
এখানে উলেখ করা আবশ্যক যে, ষাটের দশকে তৎকালীন সরকার নতুন করে চা চাষের জন্য জমি বন্দোবন্ত প্রদান করে। সেই সময়ে বেশ কয়েকটি বাগান গড়ে উঠে বাংলাদেশে। সর্বশেষ একই পদ্ধতিতে পঞ্চগড়ে ৭টি বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বাগান যেনো সোনার হরিণ!
চা শিল্প হলেও বাগানের মালিকানা এখন আভিজাত্যের অংশ। ধর্নাঢ্য ব্যক্তিরা বাগান ক্রয়ের প্রতি মনোনিবেশ করায় বাগানের দাম এখন আকাশচুম্বি। এক দশক আগে যেখানে আয়তন ভেদে বাগানের দাম ছিলো স্বাভাবিক পর্যায়ে এখন তা অনেকটাই অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গেছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, একেবারে ছোট্ট একটি চা বাগানের দাম কম করে হলেও ২৫ কোটি টাকা। আর মাঝারি মানের বাগানগুলোর দাম ৫০ কোটি। একটু বড় বাগান হলে দাম প্রকারভেদে একশ থেকে দুইশ কোটি টাকা। বাগান ক্রেতার সংখ্যা অত্যাধিক হওয়ায় এবং শিল্পপতিরা বাগান ক্রয়ে মনোনিবেশ করায় চা বাগানের দাম এখন নাগালের বাইরে। তবে, পারতপক্ষে মালিকরা বাগান বিক্রি না করার কারনেও বাগানের এমন চড়া দাম। যখনই কেউ বাগান বিক্রি করতে চায় তখনই শুরু হয় প্রতিযোগিতা। যার ফলে অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হয় বাগানের মালিকানা। প্রচলিত আছে আলোচিত একজন শিল্পপতি নাকি এরজন্য দায়ি!
জানা গেছে, একদশ পূর্বে ব্রিটিশ কোম্পানীর মালিকানাধীন একটি বাগান বিক্রির সময় ঐ শিল্পপতি বিক্রেতাদের বলে রাখেন, সর্বশেষ যে দাম হবে তার চেয়ে এক কোটি টাকা বেশি দাম দেবেন তিনি। তার বাগান চাই-ই চাই। এরপর থেকেই চলছে প্রতিযোগিতা।
দেশি কোম্পানী ও ব্যক্তি মালিকানাধীন বাগানসমূহ
বর্তমানে দেশে চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭ টি। তারমধ্যে সিলেট জেলায় ২০ টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৯৩ টি, হবিগঞ্জে ২২ টি, চট্টগ্রামে ২৩ টি, পঞ্চগড়ে ৭টি, রাঙ্গামাটিতে ১ টি এবং ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় ১ টি বাগান রয়েছে। এরমধ্যে ১৪৭ টি চা বাগানই দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানীর। তারমধ্যে ১৬ টি সরকার পরিচালিত। অন্য ১৩১ টি বাগান দেশীয় কোম্পানী এবং ব্যাক্তিমালিকানায় পরিচালিত। বাংলাদেশি কোম্পানী এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন বাগানগুলো হচ্ছে সিলেটের আলীবাহার, আফিফানগর, বরজান, ডলুছড়া, হাবিবনগর, জাফলং, খাদিম, খান, লালাখাল, মালনীছড়া, মনিপুর, মোমিনছড়া, শ্রীপুর, স্টার (তারাপুর), দাদনগর, ডলিয়া, দোনা, ফতেহপুর, লুবাছড়া, মৌলভীবাজারের আমরইল, বালিশিরা, ডেনস্টোন, রাজঘাট, ভাড়াউড়া, আমিনাবাদ, আসগরাবাদ, আতিয়াবাগ, বিটিআরআই ফার্মস, চাঁদবাগ, ক্লনেল, ধামাই, দিলদারপুর, দিলকুশা, দিনারপুর, দলই, গাজীপুর, হাজিনগর, হামিদিয়া, হোসেইনাবাদ, ঝিমাই, জুলেখানগর, কালিটি, কাপনা পাহাড়, লুয়াইউনি ও হলিছড়া, মেরিনা, মির্জাপুর, মৌলভী, এম. আর খান, নাহার, নন্দরানী, নূরজাহান, পালাথল, ফুলবাড়ি, রাজনগর,
রশিদাবাদ, রতা, সাবাজপুর, সাগরনাল, সাইফ, সাতগাঁও, সিরাজনগর, মাতিউরা, সোনারূপা, শ্রীগোবিন্দপুর, জঙ্গলবাড়ি, ওয়াহিদাবাদ, জেরিন, উত্তরভাগ ও ইন্দানগর, রাঙ্গিছড়া, আমতলি, রেহানা, ছোটলেখা, কালিকাবাড়ি, কেরামতনগর, ক্লিভডন, আলাদাদ, আয়েশাবাগ, কুমারসাইল, মুরইছড়া, ফতেহবাগ, রহমানিয়া, বাহাদুরপুর, বিমলানগর, হাফিজ, ইসলামাবাদ, কাশীপুর, লক্ষীপুর, নিরালা, হবিগঞ্জের দারাগাঁও, রসিদপুর, নয়াপাড়া, বৈকুণ্ঠপুর, বাওয়ানি, ইমাম, মধুপুর, রেমা, শ্রীবাড়ি, সুরমা, বৃন্দাবন, চট্টগ্রামের আসিয়া, আগুনিয়া, আন্ধারমানিক, মা জান, বারমাসিয়া, কর্ণফুলী, কাইয়াছড়া ডলু, কোদালা, নাসেহা, নেপচুন, নিউ দাঁতমারা, উদালিয়া, পঞ্চবটি, রামগড়, রাঙ্গাপানি, ঠাণ্ডাছড়ি, চান্দপুর বেলগাঁও, এলাহিনূর, হালদা ভেলি, ইসলাম, মোহাম্মদনগর, রাঙ্গামাটির ওয়াগাছড়া, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার হরিহর, উত্তরবঙ্গের কাজি এন্ড কাজি, করতোয়া, সালিলুন, আগা, ডাহুক, ময়নাগুড়ি, এম.এম।
সাজেদ/