প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২২, ১১:১২ পিএম
সৌন্দর্যের স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন মোহনীয় নারীরা। অনেকেই বিশ্বসেরা সুন্দরীর তকমাও পেয়েছেন। অনেকেই নিজের সৌন্দর্য লুকিয়ে রেখে ঘর-গৃহস্থালির কাজ করেন। তবে সৌন্দর্য কেবল চেহারা দিয়েই বিবেচনা করা যায় না। প্রকৃতপক্ষে একজন মানুষ তার বলার ধরণ, হাঁটা-চলা, বুদ্ধি, ভালোবাসা দিয়ে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন, আর এটাই তার প্রকৃত সৌন্দর্য। আজ বিশ্বের এমনই ৫ সুন্দরী ও আকর্ষণীয় নারীর কথা জানাব।
রোজি হান্টিংটন হোয়াইটলি : রোজি হান্টিংটন হোয়াইটলি একজন মার্কিন মডেল ও অভিনেত্রী। ১৯৮৭ সালের ১৮ এপ্রিল যুক্তরাজ্যের প্লাইমাউথে জন্মগ্রহণ করেন। পারফেক্ট ফিগার, মিষ্টি হাসি, কন্ঠস্বর, উচ্চতা সব মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয়দের একজন তিনি।
হলিউডের জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীর সবচেয়ে হিট মুভির নাম ‘ট্রান্সফরমার’। পুরুষের ম্যাগাজিনগুলোতে বারবার শীর্ষ ১০০ সর্বাধিক আবেদনময়ী এবং পছন্দসই নারীদের তালিকায় রোজি নামটি শীর্ষেই থাকে।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি : অ্যাঞ্জেলিনা জোলি একজন মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে তার জন্ম। মা-বাবা দুজনই ছিলেন পেশাদার অভিনয়শিল্পী। বিশ্বের অন্যতম নামীদামি এই তারকার গভীর চোখ, চুল, শারীরিক গঠন মিলে সব পুরুষের কাছেই কাঙ্ক্ষিত এক নারী। তার ব্যক্তিত্ব ও অ্যাকশন, সবকিছু মিলিয়ে বিশ্ব সুন্দরীদের তালিকায় প্রথম সারিতেই তিনি।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দুইবার স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার এবং একবার একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। চলচ্চিত্র জগতের বাইরে ২০০১ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন তিনি।
নাওমি ওয়াটস : নাওমি ওয়াটস একজন ব্রিটিশ অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র প্রযোজক। ১৯৬৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের শোরহ্যামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অস্ট্রেলীয় নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র ‘ফর লাভ অ্যালোন’ দিয়ে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। পরে অস্ট্রেলীয় টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘হেই ড্যাড..!’, ‘ব্রাইডস অব ক্রাইস্ট,’ ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ ও চলচ্চিত্র ‘ফ্লার্টিং’-এ অভিনয় করেন।
নাওমি ওয়াটসের সুন্দর মুখ, মায়াবী চোখ আর সোনালি চুলের কারণেই প্রিন্সেস ডায়না চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়া পুরুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। অসাধারণ ব্যক্তিত্বের কারণে হলিউডের বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিন্সেসের ভূমিকায়।
অ্যামি অ্যাডাম : অ্যামি অ্যাডাম একজন জনপ্রিয় আমেরিকান অভিনেত্রী এবং গায়িকা। ইতালির ভেনেটো শহরের ভিসেনজায় জন্মগ্রহণ করেন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে অ্যাডাম ছিলেন চতুর্থ। ১৯৮৫ সালে তার বাবা-মার বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটার আগ পর্যন্ত তিনি এলডিএস চার্চে বড় হয়েছিলেন।
অ্যামি অ্যাডামের সোনালি চুল, শারীরিক গঠন, হাসি সবকিছু মিলে হয়ে উঠেছেন বিশ্বের অন্যতম সুন্দরীদের একজন। তিনি দুবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জেতেন এবং অ্যাকাডেমি পুরস্কার ও বাফটা পুরস্কার উভয় অনুষ্ঠানেই পাঁচবার করে মনোনয়ন লাভ করেন।
অ্যামান্ডা সেইফ্রিড: অ্যামান্ডা সেইফ্রিড একজন মার্কিন অভিনেত্রী, মডেল এবং সংগীতশিল্পী। ১৯৮৫ সালের ৩ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার অ্যালেনটাউনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১১ বছর বয়সে মডেল হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ১৫ বছর বয়সে ‘সোপ অপেরা অ্যাজ দ্য ওয়ার্ল্ড টার্নস’ টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় শুরু করেন। ২০০৪ সালে ‘মিন গার্লস’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের অভিষেক ঘটে।
বিশ্বের নানা প্রান্তে অ্যামান্ডা সেইফ্রিডের কোটি কোটি ভক্ত রয়েছে। হলিউডের অধিক পারিশ্রমিক নেয়া অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনিও একজন। স্মার্ট ও ট্যালেনটেড নায়িকা হিসেবেই তার অনেক খ্যাতি রয়েছে।
সাজেদ/