প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২২, ১২:২৬ এএম
মানব সৃষ্টিতে কারও হাত নেই। একজন মানুষের সঙ্গে আরেকজনের মিলও নেই। আশ্চর্য এক নিয়ম বিধাতার। তারপরও কিছু নিয়ম আলোচনায় আসে, সৃষ্টির রহস্যকে সম্মান করবার জন্য। কে কেমন আকৃতির হবে তা সৃষ্টিকর্তা নিজেই ঠিক দিয়েছেন। তবে, পৃথিবীর আদিমানবরা লম্বায় বিশাল আকৃতির ছিলেন। আজ আর সেটি নেই। শতাব্দীর পর শতাব্দীতে মানুষের আকৃতির পরিবর্তন হয়েছে। উচ্চতা কমেছে। কেউ কেউ খাটো হয়েছে। বিজ্ঞানিরা এর বিভিন্ন যুক্তি দেখালেও এ নিয়ে রয়েছে নানা বির্তক। এই প্রতিবেদনে পৃথিবীর সবচেয়ে খাটো এক ব্যক্তির কথা বলবো।
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী পৃথিবীতে সবচেয়ে খাটো মানুষ হলেন চন্দ্রবাহাদুর ডাঁগি। ১৯৩৯ সালের ৩০ নভেম্বর তিনি নেপালে জন্মগ্রহণ করেন। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে রীমখলি নামের একটি গ্রামে বাস করতেন তিনি। ২০১২ সালে বিশ্বের খাটো ব্যক্তি হিসেবে গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে নাম লেখা হয়। কিন্তু এর আগে, গ্রামের বাইরে কখনো যাননি ডাঁগি।
ডাঁগির পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনজনের উচ্চতা ১.২২মিটারের (চার ফুট) কম, যেখানে তার দুই বোন এবং অন্য দুই ভাইয়ের উচ্চতা একটু বেশি।
গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে নাম লেখানোর পর ডাঁগি নিজেকে পরিচিত করতে দেশের প্রত্যেক প্রান্তে এবং বহিঃর্বিশ্বে ঘুরে বেড়াতে চাইলেন। ৭২ বছর বয়সে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে খাটো মহিলা, ভারতের নাগপুরের বাসিন্দা জ্যোতি আম্গের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২০১৩ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে খাটো পুরুষ-মহিলা হিসেবে গিনেস বুক রেকর্ডের ৫৭তম সংস্করণের জন্য পোজ দেন তারা।
২০১৪-তে ডাঁগি পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা জীবিত ব্যক্তি, সুলতান কোসেনের সঙ্গে লন্ডনের একটি অনুষ্ঠানে দেখা করেন। এছাড়াও তিনি সামোয়ার টুপাল ব্রুনো ম্যাজিক সার্কাসের সঙ্গে দক্ষিণ প্রশান্ত এলাকায় বেশিরভাগ সময় ঘুরে বেড়িয়েছেন।
২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ৭৫ বছর বয়সে পাগো পাগোতে অবস্থিত লিন্ডন বি. জনসন ট্রপিক্যাল মেডিক্যাল সেন্টারে মারা যান ডাঁগি। তবে, তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানানো হয়নি। যদিও দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী মৃত্যুর পূর্বে তিনি নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে।
সাজেদ/