প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২২, ০৪:৩৯ এএম
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল যা শয়তানের ত্রিভুজের কথা আমরা অনেকেই জানি। যেখানে কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছিল। অনেকে মনে করেন এটা নিছক দুর্ঘটনা। যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা চালকের অসাবধানতা। কেউ কেউ বলেছেন, ওখানকার সমুদ্রে বা আকাশে আস্ত একটা ফাটল আছে। প্রকৃতির সেই রহস্যময় ফাটলে পড়ে বিমান বা জাহাজ হারিয়ে যায়। সেভাবেই নিখোঁজ জাহাজগুলো হারিয়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ মহাস্থানগড়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্য
আবার কেউ কেউ বলে অন্য সভ্যতার কথা। সেখানে আগুনের গোলা লাফিয়ে ওঠে। বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যায় সব জাহাজ ও উড়োজাহাজ। কারও মতে, ওই অঞ্চলে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ভূমিকম্পের জন্য বিশাল জলস্তম্ভ জাহাজ, উড়োজাহাজ সবকিছুকে নিজের গহবরে টেনে নিতে পারে। হারিয়ে যাওয়া বিমান বা জাহাজের ভাগ্যেও তাই হতে পারে। তবে, আপাতদৃষ্টিতে এসব কিছু অবিশ্বাস্য। তবে, জায়গাটি সত্যি অত্যন্ত রহস্যময়। এ সম্পর্কে সঠিক খবর এখন পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। এই রহস্যময় জায়গায় ঘটে যাওয়া ঘটনার মধ্যে অন্যতম ‘ফ্লাইট নাইনটিন’ এর ঘটনা। যা এই প্রতিবেদনে তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো।
১৯৪৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ওই ত্রিভুজ স্থানে ‘ফ্লাইট নাইনটিন’ গিয়ে রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়। ওই ঘটনাটিকে ‘মেরিসিলেক্ট অফ দি স্কাই’ বলা হয়। এটা পুরোপুরি বারমুডার সীমানায় ঘটেনি। তবে, একে বারমুডার রহস্যময় ঘটনাগুলোর একটা ধরা হয়।
ওইদিন বিমান মহড়া চলছে। প্রতিটি বিমানেই পাইলটকে নিয়ে তিনজন ক্রু থাকে। সেদিন ছিল একজন দু`জন। আবহাওয়া পরিষ্কার। হটাৎ কন্ট্রোল টাওয়ারে বিশেষ একটি বার্তা আসলো। মাইকে ভীত কণ্ঠে একজন পাইলট বলছেন, ‘মনে হচ্ছে আমরা পথভ্রষ্ট হয়েছি, আমরা মাটি দেখতে পাচ্ছি না’!
আরও পড়ুনঃ প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার আলোচিত বিয়ে
টাওয়ার থেকে তাদের পজিশন জানাতে বলা হলো। কিন্তু ওপার থেকে উত্তর আসলো, ‘আমরা আমাদের পজিশন ঠিক বুঝতে পারছি না। খুব সম্ভবত আমরা হারিয়ে গিয়েছি।’ এসময় ফ্লাইটের দলপতি কে বলতে শোনা যায়- ‘আমরা কোথায় আছি জানি না, এখানে সবুজ বর্ণের জল দেখা যাচ্ছে, কোথাও সাদা কিছু নেই’।
এরপর তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে ১৩ জন ক্রু নিয়ে একটি বিরাট মার্কিন মেরিনার ফ্লাইং বোট পাঠানো হল তাদের উদ্ধারের জন্য। এই ফ্লাইং বোটটি অশান্ত সমুদ্রেও নামতে পারে এবং এমনভাবে তৈরি যে, পানিতে ডুবে না। এই বোট সেই বিমানগুলোর উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠালো, ‘যেখানে আছো, সেখানেই থাকো। সাহায্য আসছে!’ কিন্তু ওপার থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া গেলো না। মেরিনার আকাশে উঠে গেলো, কিন্তু কোনো বিমান দেখতে পেলো না।
ব্যাপক খোঁজাখুঁজি করে বিমান তো দূরের কথা, বিমানের এক টুকরো অংশও পাওয়া গেলো না। সবার কাছে ফ্লাইট নাইনটিন হারিয়ে যাওয়ার রহস্য অস্পষ্টই রয়ে গেল। একইভাবে নিখোঁজ হলো মেরিনার।
সাজেদ/