• ঢাকা শনিবার
    ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে এবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্ত, ৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫, ০৯:৫৬ এএম

যুক্তরাষ্ট্রে এবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্ত, ৬ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় এবার একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্ত হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সটিতে শিশু ও পাঁচজন অন্য ব্যক্তি ছিলেন বলে জানিয়েছে বিমান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান জেট রেসকিউ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। খবর রয়টার্সের।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়ায় রুজভেল্ট বুলেভার্ড এবং কটম্যান অ্যাভিনিউয়ের কাছে এই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

জেট রেসকিউ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স জানিয়েছে, বিমানটিতে চারজন ক্রু, একজন শিশুসহ দুজন যাত্রী ছিলেন। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, এই মুহূর্তে কেউ বেঁচে আছে কি না আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না। এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ফিলাডেলফিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। আরও নিরীহ প্রাণ হারাল। আমাদের উদ্ধারকর্মীরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে।

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি লিয়ারজেট ৫৫ মডেলের ছিল। এটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়।

ফ্লাইট ডেটা নিয়ে কাজ করা সংস্থা এডিএস-বি এক্সচেঞ্জের ডেটা অনুসারে, উড্ডয়নের পর বিমানটি ১ হাজার ৬৫০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই নিচে নামতে থাকে। এর পতনের হার ছিল প্রতি মিনিটে ১১ হাজার ফুট। বিমানটি নর্থইস্ট ফিলাডেলফিয়া এয়ারপোর্ট থেকে মিসৌরির স্প্রিংফিল্ড-ব্র্যানসন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটি রুজভেল্ট মলের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে, যেখানে আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

বিষয়টি জানতে পেরে বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার বিমানটিকে বারবার ডাকলেও কোনো সাড়া মেলেনি। প্রায় এক মিনিট পর কন্ট্রোলারকে বলতে শোনা যায়, আমরা একটি বিমান হারিয়েছি।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটি সোজা নিচের দিকে নেমে আসার পর বিস্ফোরণে বিশাল আগুনের গোলা সৃষ্টি হয়। অন্তত একটি বাড়ি ও বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লেগে যায়, যা পরে নিয়ন্ত্রণে আসে।  

ফিলাডেলফিয়ার মেয়র চেরেল পার্কার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি একটি জরুরি পরিস্থিতি, আমাদের সব সংস্থা কাজ করছে। তবে হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।

পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, আমাদের সব রাজ্য সংস্থাকে দুর্ঘটনাস্থলে সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ফিলাডেলফিয়ার জরুরি ব্যবস্থাপনা অফিস এটিকে মহা দুর্যোগপূর্ণ ঘটনা বলে বর্ণনা করেছে। তবে পুলিশ ও দমকল বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেনি।  

প্রায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে হতাহতের বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

এই দুর্ঘটনার মাত্র কয়েক দিন আগে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি জেট ও মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। যা ২০০৯ সালের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।

আর্কাইভ