প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২, ০৭:৪৬ পিএম
নর্থ
আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো) হচ্ছে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট অর্থাৎ
শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং সদস্যদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য উত্তর আমেরিকা
ও ইউরোপীয় দেশগুলো নিয়ে প্রতিষ্ঠিত একটি সামরিক জোট। এর প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্র তাদের
সামরিক বাহিনীকে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখতে বদ্ধপরিকর।
মূলত
আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে অবস্থিত উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এই জোটের সদস্য। প্রতিষ্ঠাকালীন ১২টি দেশ ও ১৭টি সদস্য দেশের সমন্বয়ে বর্তমানে ন্যাটো বিশ্বের
সবচেয়ে বড় সামরিক সংস্থা। সংস্থাটির সদর দফতর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অবস্থিত।
ন্যাটোর শুরু: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্নায়ুযুদ্ধের
প্রাক্কালে ন্যাটোর গোড়াপত্তন ঘটে। ১৯৪৯ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র,
কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং আরও আটটি ইউরোপীয় দেশসহ ১২ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য একে
অপরকে রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে রক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে উত্তর আটলান্টিক চুক্তিতে স্বাক্ষর
করেছিল।
ন্যাটোর উদ্দেশ্য: ন্যাটো একটি যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি, যে
চুক্তির আওতায় জোটভুক্ত দেশগুলো পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।
ন্যাটোর মূল উদ্দেশ্য সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসনের হাত থেকে পশ্চিম বার্লিন এবং ইউরোপের
নিরাপত্তা বাস্তবায়ন করা।
প্রতিষ্ঠার
প্রথম দুই বছর ন্যাটো একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ছিল, কিন্ত কোরিয়া যুদ্ধের পর ন্যাটো
সদস্যরা চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং যুক্তরাষ্ট্রের দুই সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ডারের
অধীনে একটি সমন্বিত সামরিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়।
১৯৪৯
সালে ন্যাটোর তৎকালীন মহাসচিব লর্ড ইসমে রাশিয়ানদের দূরে
রাখা, আমেরিকানদের কাছে আনা এবং জার্মানদের দাবিয়ে রাখার ঘোষণা দেন।
ন্যাটোর প্রতিষ্ঠাতা দেশ
ও সদস্য দেশগুলো: ন্যাটোর
১২টি প্রতিষ্ঠাতা দেশ হচ্ছে বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, আইসল্যান্ড,
ইতালি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
পরবর্তীতে ন্যাটোতে যোগদান করা সদস্য দেশগুলো হচ্ছে গ্রিস, তুরস্ক, জার্মানি, স্পেন, চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, আলবেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, মন্টিনিগ্রো ও উত্তর মেসোডেনিয়া।
অর্ণব/ফিরোজ