
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২১, ০৯:১৬ পিএম
ড. বেনজীর
আহমেদ। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক। তিনি শুধু একজন পুলিশ কর্তাই নন,
সমাজের
সর্বস্তরের মানুষের স্বপ্নদ্রষ্টাও বটে। অর্ধশতাব্দী ধরে পুলিশ বিভাগের নতুন
বিস্ময় তিনি। চাকরিজীবনে র্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার, পুলিশ সদর দফতরে ডিআইজি (প্রশাসন ও
অপারেশন্স) ও ডিআইজি (ফিন্যান্স অ্যান্ড বাজেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
পাশাপাশি পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন।
ডিএমপি কমিশনার
হিসেবে তিনি ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন অত্যন্ত সাহসিকতা, বুদ্ধিমত্তা
ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেন। এছাড়া ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫
সালের অগ্নি ও বোমাসন্ত্রাস পেশাদারিত্বের সঙ্গে দমন করেন এই পুলিশপ্রধান। বিশেষ
করে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাস ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন
স্থানে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস, বোমাসন্ত্রাস ও পুলিশকে টার্গেট করে
আক্রমণ অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে দমন করেন। নগরবাসীর জন্য ফরমালিনমুক্ত
খাদ্যদ্রব্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে ভেজালবিরোধী আন্দোলন শুরু করে সফলতা পান সাবেক এই র্যাবপ্রধান।
পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (প্রশাসন ও অপারেশন্স) হিসেবে প্রথম পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কাঠামোগত সংস্কার শুরু করেন ড. বেনজীর আহমেদ। তার হাত ধরেই যাত্রা শুরু পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বর্তমান পুলিশ ইন্টারনাল ওভারসাইট (পিআইও) ইউনিট। পিআইও ইউনিট সৃষ্টির পর পুলিশ সদস্যদের বেশির ভাগ কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের আওতায় এসেছে। ফলে পুলিশের সামগ্রিক কাজে অধিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি সামগ্রিক কার্যক্রমে গতি আসে, যা পুলিশের ইমেজ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
২০১০-২০১৫
মেয়াদে ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বেনজীর আহমেদ। দায়িত্ব গ্রহণের
পরপরই তিনি ডিএমপিতে ব্যাপক কাঠামোগত সংস্কার শুরু করেন। তিনি ডিএমপির প্রায় সব
ক্ষেত্রেই ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার সূচনা ও তা শেষ করেন। তার মধ্যে ই-ট্রাফিক
প্রসিকিউশন সিস্টেম, পে-রোল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেম,
রেশন
স্টোর সফটওয়্যার সিস্টেম, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার,
সাসপেক্ট
আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম উল্লেখযোগ্য।
তার
দায়িত্ব পালনের এ সময়ে ডিএমপির অবকাঠামো উন্নয়নে এক নতুন যুগের সূত্রপাত হয়। মিরপুর
পিওএমের সামগ্রিক আধুনিকায়ন, ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের ঊর্ধ্বমুখী
সম্প্রসারণ, রাজারবাগের প্রশাসনিক ভবন সম্প্রসারণ, আধুনিক
মিডিয়া সেন্টার স্থাপন, মোবাইল কমান্ড সেন্টার, মোবাইল
ওয়াচ টাওয়ার, ডগ স্কোয়াড ও আটটি নতুন থানা স্থাপন অন্যতম।
তিনিই প্রথম সরকারি কোনো অফিসে মিডিয়া সেন্টার স্থাপনের নজির স্থাপন করেন।
২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে তিনি সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করেন। যা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বহু বছরের আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত ছিল। নারায়ণগঞ্জ জেলার সাত হত্যা মামলাসহ কিছু ঘটনায় যখন র্যাবের ভূমিকা ও ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ তখন দৃঢ়তার সঙ্গে সেই নাজুক পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন ড. বেনজীর। তিনি সদস্যদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি জনসম্মুখে র্যাবের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
২০১৬ সালে হলি
আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মোকাবিলায় অত্যন্ত সাহসী ভূমিকা রাখেন ড. বেনজীর
আহমেদ। তিনিই প্রথম মিডিয়াতে কৌশলী ও সাহসী বক্তব্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধ
থেকে দৃঢ়তার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানান। তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে
মিডিয়া তাদের সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে। যা পরবর্তী সময়ে অপারেশন পরিচালনার
ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তার নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযানে সফলতা অর্জন
করেছে র্যাব। র্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক বড় বড় মাদক
ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছেন।
প্রতিটি পদ তার
সফলতার ছোঁয়ায় যেন পরশ পাথর হয়ে উঠেছে। বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবেও তিনি
সফল। পুলিশের
প্রতি জনগণের আস্থা স্থাপনে অতীতের মহাপরিদর্শকগণ সাধ্যমতো কাজ করছেন এ বিষয়ে
সন্দেহ নেই। ড. বেনজীর সেক্ষেত্রে একেবারেই ব্যতিক্রম। তার সফলতার
মাত্রা সবাইকে অবাক করেছে। ড. বেনজীর এমন একজন দক্ষ, ভিশনারি পুলিশ
কর্মকর্তা; যার সুযোগ্য নেতৃত্বে পুলিশ বিভাগের আধুনিক সংস্কার সকলের দৃষ্টি
কেড়েছে। মাত্র দেড় বছরের কিছু বেশি সময় হলো ড. বেনজীর পুলিশের মহাপরিদর্শকের
দায়িত্ব পেয়েছেন। এরই মধ্যে বদলে গেছে পুলিশ বিভাগের সার্বিক দৃশ্যপট। প্রণীত
হয়েছে নতুন রূপরেখা।
ড. বেনজীর কেবল একজন দক্ষ এবং ভিশনারি কর্মকর্তাই নন, মানবিকও বটে। দায়িত্ব পেয়েই ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতিতে তিনি পুলিশকে সর্বোচ্চ মানবিকতায় নিবেদিত করেছেন। নিজেকেও উৎসর্গ করেছেন মানবসেবায়। করোনাকালে সারা দেশে করোনা আক্রান্ত মানুষের পাশে পুলিশের ভূমিকা ছিল অনন্য, অসাধারণ। পুলিশ সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের বন্ধু হিসেবে পাশে দাঁড়াতে, সামাজিক দূরত্ব বাজয় রাখা, যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণেও পুলিশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এ সময়ে।
ড. বেনজীর আহমেদ
নিজে স্বপ্ন দেখেন, মানুষকে স্বপ্ন দেখান। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন
করেন। দক্ষ, যোগ্যতার উদ্ভাবনী ক্ষমতার সমন্বয়ে তারই
নেতৃত্বে নানা প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে দীপ্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
ড. বেনজীর নিঃসন্দেহে একজন দেশপ্রেমিক পুলিশ কর্মকর্তা। তার মতো দক্ষ, সাহসী
ও দেশপ্রেমিক পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃ্ত্বে পুলিশ বিভাগ হয়তো অচিরেই পৌঁছে যাবে নতুন
দিগন্তে।
‘পুলিশ জনগণের
বন্ধু’ একটি জনপ্রিয় ধারণা সমাজের মাঝে। কিন্তু তা প্রমাণ করতে পুলিশকে সব সময় এক
কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। তবে শিগগিরই এই মিশ্র প্রতিক্রিয়ার অবসান হতে
চলেছে। নতুন উদ্যোগে ড. বেনজীর তার দূরদর্শী পরিকল্পনা নিয়ে পুলিশকে জনগণের বন্ধু
প্রমাণ করতে অনেকাংশেই সফল হয়েছেন। তার নিরলস প্রচেষ্টা আশা জাগিয়েছে সচেতন মহলে।
নিরন্তর প্রচেষ্টার ফল পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ।
২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল যখন ড. বেনজীর পুলিশ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান তখন সারা বিশ্বে বিরাজ করছিল এক বৈরী পরিবেশ। বিশ্বব্যাপী করোনার ঢেউ তখন বাংলাদেশেও। এক অস্থির পরিবেশ, প্রকৃতির বৈরী আচরণ আর গ্লোবাল প্যানডামিকে যখন বাংলাদেশের মানুষ মহাসংকটে, ঠিক সেই মুহূর্তে ড. বেনজীরের দায়িত্ব গ্রহণ ছিল রীতিমতো এক অগ্নিপরীক্ষা।
তবে ড. বেনজীর শুরু থেকেই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে পুলিশ বিভাগকে ঢেলে সাজানোর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তার সুদক্ষ নেতৃত্বের ফসল আজকের পুলিশ বিভাগের আধুনিক রূপ। একজন স্বপ্নচারী পুলিশ কর্মকর্তা যখন পুরো পুলিশ পরিচালনার শীর্ষ পদে থাকেন তখন শুধু একটি বিশেষ পেশার মর্যাদাই নয়; সরকারের ভাবমূর্তি কতটা উজ্জ্বল হতে পারে তার প্রমাণ ড. বেনজীর আহমেদ।
বাংলাদেশ
পুলিশকে নিয়ে এখন কেবল বাংলাদেশই গর্ব করে না, বিশ্ব অঙ্গনে
বাংলাদেশ পুলিশের সুনাম ও খ্যাতি আকাশছোঁয়া। গত বছরের ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ পুলিশ
বিভাগের যে সোনালি অধ্যায় শুরু হয়েছিল তার অগ্রযাত্রা এখন দীর্ঘদিনের স্বপ্ন
পূরণের দ্বারপ্রান্তে।
তবে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকাও অমূলক নয়। কিছু কর্মকর্তার দায়িত্বহীন আচরণ কিংবা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা মিডিয়ার কল্যাণে জাতির কাছে স্পষ্ট। তবে যারা এই পবিত্র মহান পেশাকে বিতর্কিত করছেন, এ দায়ভার কেবল তাদেরই। এমন অভিযোগ কিংবা বিতর্ক অন্যান্য পেশায়ও নিশ্চয়ই রয়েছে। পুলিশের সব কর্মকর্তাকে একই পাল্লায় মাপা কিংবা এক দৃষ্টিতে দেখা কোনোভাবেই যৌক্তিক হবে না। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পুলিশ হবে জনগণের আস্থার প্রতীক। পুলিশ জনগণের সেবক। তেমনটাই আমাদের কাঙ্ক্ষিত কিংবা প্রত্যাশিত। তবে পুলিশ সম্পর্কে এখন জনমনে ইতিবাচক ধারণা জন্ম নিচ্ছে সেটা আমরা বলতেই পারি। ড. বেনজীর আহমেদ জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণেই কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি চেষ্টা করেছেন পুলিশ বিভাগের আধুনিক সংস্করণে। আমরা গত এক বছরে তেমনটাই দেখছি।
করোনা দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পুরো একটি বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করা হয়।
কেন্দ্রীয় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালকে দুই সপ্তাহের জন্য ভাড়া করা হয়। পরিস্থিতি
মোকাবিলায় আইজিপি প্রচলিত পুলিশিং ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে শুরু করেন ‘প্যান্ডামিক
পুলিশিং’। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ ব্যারাককে আইসোলেশন সেন্টারে পরিণত করা হয়।
ড. বেনজীর
আইজিপির দায়িত্ব পেয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন দুর্নীতির বিষয়ে। গ্রহণ করেন
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পদোন্নতি, বদলি
ও নিয়োগ সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা প্রণয়ন করেন। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদের এ
সংক্রান্ত নীতিমালা ইতোমধ্যেই প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায়
পুলিশের অভ্যন্তরীণ পদোন্নতি পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে নেয়া হচ্ছে। মেধা, যোগ্যতা
ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে যোগ্য পুলিশ সদস্যগণ পদোন্নতির সুযোগ পাচ্ছেন। কনস্টেবল থেকে
অতিরিক্ত আইজিপি পর্যন্ত সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যের জন্য বছরে অন্তত একবার হলেও
বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের কাঙ্ক্ষিত সেবা জনগণের
দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ সারা দেশকে ৬ হাজার ৯১২টি বিটে ভাগ
করে বিট পুলিশিং কার্যক্রম শুরু করেছেন। পুলিশের সেবাকে সাধ্যমতো করতে থানা সেবাকে
শহর এলাকায় ওয়ার্ড এবং গ্রাম পর্যায়ে ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত করেছেন।
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বন্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে দেশব্যাপী একযোগে বিট পুলিশিংয়ের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় ১২ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পুলিশ সদস্যরা যাতে ব্যাংক থেকে সহজেই আর্থিক সুবিধা পান তা নিশ্চিতে পুলিশ পরিচালক কমিউনিটি ব্যাংকের মাধ্যমে নতুন নতুন সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
পুলিশের একটি
ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর আধুনিকায়ন। সাধারণ মানুষ তাৎক্ষণিক
বিপদ উদ্ধারে ৯৯৯-এর সুবিধা পাচ্ছে। যা কেবল উন্নত বিশ্বেই দেখা যায়। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সজীব ওয়াজেদ জয়ের আন্তরিক সহযোগিতা
ও প্রচেষ্টায় এ কাজটি সম্পন্ন হয়।
বেনজীর আহমেদ
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। উপমহাদেশে তিনিই
প্রথম নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে ডিপার্টমেন্ট অব পিস কিপিং অপারেশন্সের অধীন
মিশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট সেকশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া কসোভো মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্ট কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন ড.
বেনজীর।
ড. বেনজীর আহমেদ সপ্তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৮ সালে পুলিশ ক্যাডার হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু। তিনি একজন দক্ষ, পেশাদার, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিত।
বেনজীর আহমেদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর, এলএলবি ও এমবিএ
ডিগ্রি অর্জন করেন। সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টি থেকে ডক্টর অব
বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিবিএ) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৩ সালে গোপালগঞ্জ
জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে
তিন কন্যাসন্তানের পিতা তিনি।
বাংলাদেশ
লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ একাডেমিতে পেশাগত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে রেক্টরস মেডেল অর্জন
করেন ড. বেনজীর আহমেদ। এছাড়া চাকরি জীবনে তিনি বিভিন্ন সময়ে সাহসিকতা ও
বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রেকর্ডসংখ্যক সর্বোচ্চ ছয়বার বাংলাদেশ পুলিশ পদক
(বিপিএম) অর্জন করেন।
এস/এম. জামান