• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এবারও মধু উৎপাদন বেড়েছে সুন্দরবনে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১, ১১:৫৯ পিএম

এবারও মধু উৎপাদন বেড়েছে সুন্দরবনে

দেশজুড়ে ডেস্ক

করোনার প্রভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জনজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। তবে প্রকৃতি ফুরসত পেয়েছে স্বরূপে ফেরার। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনজুড়ে তারই সাক্ষ্য। বেড়েছে মৌচাক। সে সুবাদে গত বছরের ন্যায় এ বছরও সুন্দরবনে মধুর উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। এ বছর সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে ২১৫৯ দশমিক ১৫ কুইন্টাল মধু সংগ্রহ হয়েছে। 

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ কার্যালয় থেকে প্রাপ্ততথ্যে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে মধু সংগ্রহের জন্য সুন্দরবন গেছেন চার হাজার মৌয়াল। আর মধু আহরিত হয়েছে ২১৫৯ দশমিক ১৫ কুইন্টাল। অথচ ২০১৯-২০ অর্থবছরে হয়েছে ২০০৬ দশমিক ৬০ কুইন্টাল এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সুন্দরবন থেকে মধু সংগ্রহ হয়েছিল ১৪১৯ দশমিক ৫০ কুইন্টাল। 

মৌয়ালরা জানান, প্রতি বছর বন বিভাগ থেকে বিএলসি নিয়ে দলের সঙ্গে মধু সংগ্রহে যান তারা। করোনার কারণে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সুন্দরবনের পরিবেশ ছিল শান্ত। এ ছাড়া সুন্দরবনের খলিশা, গরান, সুন্দরী, গেওয়া, বাইন, গিবো ফুলও অনেক বেশি ছিল। তাই অন্য বছরের থেকে এ বছর মৌচাকে মধুর পরিমাণ বেশি হয়েছে।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালীনি ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ জানান, প্রতি বছর সুন্দরবনে মধু সংগ্রহের জন্য প্রায় সাড়ে তিন হাজার মৌয়াল প্রবেশ করেন। তবে এ বছর চার হাজার মৌয়াল মধু সংগ্রহ করতে সুন্দরবন গেছেন। 
তিনি আরও বলেন, মূলত দুটি কারণে এ বছর বেশি মধু সংগ্রহ হয়েছে। একটি হলো- বেশি মৌয়াল সুন্দরবনে প্রবেশ ও আরেকটি সুন্দরবনের শান্ত পরিবেশ। ১ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সুন্দরবনে মধু সংগ্রহের মৌসুম।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন অধিদফতরের কর্মকর্তা সালেহ মো. আব্দুল্লাহ্ বলেন, সারাদেশেই সুন্দরবনের মধুর চাহিদা ও সুনাম রয়েছে। কোথাও কেউ ভেজাল মধু বিক্রি করছে বা কারো কাছে রয়েছে এমন অভিযোগ পেলে প্রশাসনকে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। 

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সাতক্ষীরার উপব্যবস্থাপক গোলাম সাকলাইন বলেন, ২০১৩ সালে মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ সেন্টার নামে সাতক্ষীরা বিসিকে দুটি প্লট বরাদ্দ রাখা হয়। তবে প্রকল্পটি সাতক্ষীরায় বাস্তবায়িত হয়নি। প্রকল্পটি সাতক্ষীরা থেকে নিয়ে রাজধানীর ধামরাই বিসিক শিল্পনগরীতে মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ সেন্টার করা হয়েছে। চেষ্টা করছি সাতক্ষীরায়ও একটি মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ সেন্টার করার। সে লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি।

টিআর/সবুজ
আর্কাইভ