প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গুম ও হত্যায় জড়িত ২২ পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া জুলাই–আগস্টে গণহত্যায় জড়িত ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে, এর মধ্যে শেখ হাসিনার নামও আছে।’
গত ৫ আগস্ট তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে তার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।
এরপরপরই শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বা লাল পাসপোর্ট বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার।
সাধারণত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য এবং তাদের স্বামী বা স্ত্রী কূটনৈতিক পাসপোর্ট পান। এছাড়াও উচ্চ আদালতের বিচারপতি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিদেশে বাংলাদেশি মিশনের কর্মকর্তারা এই পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন।
নিয়ম অনুযায়ী এ পাসপোর্টধারীদের পাসপোর্ট বাতিল হলে তাদের পরিবারের সদস্যদেরটাও বাতিল হয়ে যায়। এরপর কেউ পাসপোর্ট নিতে চাইলে তাকে লাল পাসপোর্ট জমা দিয়ে সাধারণ পাসপোর্ট নিতে হয়। লাল পাসপোর্ট বাতিলের পর তারা সাধারণ পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন কিনা এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সহ দেশের বিভিন্ন আদালতে শতাধিক হত্যা মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাকে ভারত থেকে ফেরাতে দেশটিকে চিঠিও দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ভারত।