প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে রাজধানী গুলশানের বাসভবন ফিরোজায়। এরইমধ্যে নেত্রীকে বিদায় জানাতে গুলশান থেকে বিমানবন্দর সড়কে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। পথে পথে জড়ো হয়েছেন হাজারো নেতাকর্মীরা। সুস্থ হয়ে দেশের রাজনীতিতে ফিরবেন বেগম জিয়া এমন প্রত্যাশা তাদের।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ৮টায় গুলশানের বাসা থেকে বের হয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত ১০টায় লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। মাঝে দোহায় যাত্রাবিরতিতে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির এক মামলায় কারাবন্দি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাকে রাখা হয় ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত ও নির্জন কারাগারে। কারাগারে থাকাকালে নানা রোগে আক্রান্ত হন বিএনপি নেত্রী। বারবার যেতে হয় হাসপাতালে।
আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরে জামিন ও মুক্তি না মেলায়, প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপে পরিবারের আবেদনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার কারাবাসের ২ বছর একমাস ১৩ দিন পর শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের অস্থায়ী মুক্তি দেয়া হয় তাকে। শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ছয়মাস করে বাড়ানো হয় বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ।
এতদিন বাসা-হাসপাতাল, হাসপাতাল-বাসা এভাবেই কাটছিল বেগম জিয়ার জীবন। কয়েকদফা দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকতে হয় তাকে। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা বিএনপি নেত্রীকে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে দেয়া হয় চিকিৎসা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কয়েকদফা তারিখ পরিবর্তন হলেও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় কাতারের আমীরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে যাচ্ছেন বিএনপি নেত্রী। এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আইসিইউ সুবিধা ছাড়াও থাকছে তাৎক্ষণিক জীবন রক্ষার সব ধরনের সুবিধা।
লন্ডনে যাওয়ার আগে দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন চার বছর গৃহবন্দি থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।