• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পারিবারিক বিরোধেই আত্মগোপনে পপি

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১, ০২:৩৪ পিএম

পারিবারিক বিরোধেই আত্মগোপনে পপি

বিনোদন প্রতিবেদক

ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপিকে নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। চলতি বছরের শুরু থেকে আত্মগোপনে থাকা এই নায়িকার বিরুদ্ধে সম্প্রতি অভিযোগ তুলেছেন তার মা। পপি নাকি তার মায়ের কোনো খোঁজখবরই রাখেন না।  

এদিকে এই মুহূর্তে কোনোভাবেই পপির সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। মিডিয়ার কারও সঙ্গেই তার যোগাযোগ নেই। তার পরিবারের দাবি, তারাও জানেন না পপি কোথায়।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে পপির মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘২০০৭ সালের পর থেকে পপি আমার সঙ্গে থাকে না। পপি কোথায় আছে সেটিও জানি না।’ 

তবে জানা গেছে, সত্য গোপন করছেন পপির মা। কারণ গত বছর করোনার প্রকোপ শুরুর দিকেও খুলনার নিজ বাড়িতেই ছিলেন পপি। সেখানে বাবা-মা এবং ভাইবোনদের সঙ্গেই ছিলেন তিনি।

খুলনায় অবস্থানকালে পপি জানিয়েছিলেন, সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধ চলছে তাদের। এমনকি সম্পত্তির বিরোধে তার বাবার গায়ে হাতও তোলা হয়েছে।

পরবর্তীতে পারিবারিক বিরোধ মিটিয়ে ঢাকায় ফিরে পরিবারের সঙ্গেই বসবাস করছিলেন পপি। তখন সিনেমার শুটিংয়েও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এরপর হঠাৎ করেই গায়েব হয়ে যান এই অভিনেত্রী। বন্ধ করে দেন সবার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ। 

আত্মগোপনে যাওয়ার আগে পপি জানিয়েছিলেন, তার ব্যক্তিগত উপার্জনের কিছু সম্পত্তিও ভাইবোনদের মধ্যে ভাগ করে দিতে চায় তার পরিবার। এ ব্যাপারেও তার আপত্তি ছিল না। তবে বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হতে নারাজ তিনি। 

মূলত এসব কারণেই বিরক্ত হয়ে আলাদা বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন পপি। শিগগিরই তিনি আলাদা বসবাস করবেন বলেও জানিয়েছিলেন তখন। পরে তিনি মগবাজারের পারিবারিক বাসা ছেড়ে বারিধারায় নিজস্ব ফ্ল্যাটে ওঠেন। এর কিছুদিন পর থেকেই আর পপির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। 

পপির আত্মগোপনে যাওয়ার পর নানা গুঞ্জনই ছড়িয়েছিল। এ ব্যাপারে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, আপাতত তিনি আড়ালে আছেন মূলত পারিবারিক সম্পত্তির বিরোধের কারণেই। এর মধ্যে তার বিয়ের গুঞ্জনটি উড়িয়ে দেননি সেই সূত্র। 

আত্মগোপনে যাওয়ার আগে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ও ‘ভালোবাসা প্রজাপতি’ নামে দুটি ছবির শুটিং করছিলেন পপি। তার অভিনীত সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত ছবি ‘ডাইরেক্ট অ্যাটাক’ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।

ডব্লিউএস/এএমকে
আর্কাইভ