বিনোদন ডেস্ক
নিজ বাসা থেকে মদ ও মাদকসহ গ্রেফতার করা হয় আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনিকে। বর্তমানে মাদক মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন তিনি। এর আগে গত জুন মাসে ঢাকা বোট ক্লাব কাণ্ডে আলোচনায় এসেছিলেন এই অভিনেত্রী।
বোট ক্লাবে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন আহমেদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেছিলেন পরী। জানা গেছে বোট ক্লাব ঘটনার আগে সেই অমির সঙ্গেই দুবাই গিয়েছিলেন তিনি।
দুবাইতে গিয়ে ব্লু ওয়াটার আইল্যান্ড নামের একটি দ্বীপে অমির ফ্ল্যাটেই উঠেছিলেন পরীমনি। সেখানেই দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গাঢ় হয়েছিল। এরপর দেশে এসে অমির সঙ্গে গিয়েছিলেন বোট ক্লাবে।
গত ৪ আগস্ট এলএসডি, আইস ও বিদেশি মদ উদ্ধারের পর বনানীর নিজ বাসা থেকে পরীমনিকে গ্রেফতার করে র্যাব। পুলিশে হস্তান্তরের পর মাদক মামলায় তাকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) তদন্ত সূত্র থেকে জানা গেছে, মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হলেও পরীমনির মিডিয়া অঙ্গনের নানা কর্মকাণ্ড উঠে এসেছে জিজ্ঞাসাবাদে। বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করতেন পরীমনি। সেখানে দাওয়াত দেয়া হতো ব্যবসায়ীদের; আর তাদের কাছ থেকে নেয়া হতো টাকা। টাকা নেয়ার পর ধীরে ধীরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতেন তিনি।
একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, পরীমনি চলতি বছরের এপ্রিলে দুবাই গিয়েছিলেন অমির খরচেই। বিমান টিকিট থেকে শুরু করে পরীর ঘোরাফেরার সব খরচ বহন করেছিলেন অমিই। সেখানে অমির ফ্ল্যাটেই ১৭ দিন ছিলেন পরী। অমির সঙ্গে সময় কাটাতেই মূলত দুবাই গিয়েছিলেন তিনি। দুবাইয়ে নিজের সঙ্গে থাকার জন্যে পরীমনিকে অমি দিয়েছিলেন নগদ ১৫ লাখ টাকা। দেশে এসে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরীমনিকে পরিচয় করিয়ে দেবেন বলেও কথা দিয়েছিলেন অমি।
মানবপাচার ব্যবসা করা অমি উঠতি বয়সী মডেলদের দুবাই পাচার করতেন। সেখানকার বার-রেস্টুরেন্ট এবং নাইটক্লাবে সরবরাহ করতেন নারী। উঠতি মডেলদের উৎসাহিত করতেই পরীমনিকে দুবাই নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরীসহ অন্যান্য মেয়েদের পরিচয় করিয়েও আলাদা কমিশন নেয়ার চিন্তা ছিল তার।
ডব্লিউএস/নির্জন
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন