প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
‘শৈশব-কৈশোর কেটেছে দেশের বাইরে। তাই বাংলায় ছিলাম দুর্বল। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে উচ্চারণ সমস্যার কারণে অভিনয়ে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। ঠিকমত স্ক্রিস্ট পড়তে পারতাম না। আমি চাইতাম কেউ আমাকে স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনাক। সেটাই আমার জন্য সহজ হবে। উচ্চারণ সমস্যা ঠিক করার চেষ্টা করেছি। অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেয়ার ইচ্ছা ছিল না এক সময়। কিন্তু যখন ঠিক করলাম অভিনয়ে নিয়মিত হব তখন আর থেমে থাকিনি।’
দেশের প্রেক্ষাগৃহে অভিষিক্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে এভাবেই নিজের ক্যারিয়ারের শুরুর গল্প বলছিলেন মেহজাবীন চৌধুরী।
২০ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে আসছে ’প্রিয় মালতী’। এর সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর। মুক্তি উপলক্ষে ১৫ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর অল কমিউনিটি ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় সংবাদ সম্মেলন। সেখানেই নিজের ক্যারিয়ার ও সিনেমা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
এদিন আয়োজনের চমক হিসেবে ছিল মেহজাবীনের উপস্থাপনা। মূল আয়াজনটি তিনি নিজেই পরিচালনা করেন, দেন স্বাগত বক্তব্য, আলোচনার মাধ্যমে সিনেমাটির নানা দিক তুলে আনেন অভিনেত্রী, জানান নিজের সম্পর্কেও।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা শঙ্খ দাশগুপ্ত, প্রযোজক আদনান আল রাজীব, অন্যতম প্রযোজক রেদওয়ান রনি, অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম, শাহজাহান সম্রাট। আয়োজনে এসেছিলেন রিজভি রিজু, আনিসুল হক বরুণ, নাদের চৌধুরী।
’প্রিয় মালতী’ যাপিত জীবনের গল্প। সিনেমায় নিম্ন–মধ্যবিত্ত লড়াকু নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। সিনেমায় তার নাম মালতী রানী দাশ। পলাশ কুমার দাশের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন তিনি। দশটা নিম্ন–মধ্যবিত্ত দম্পতির মতো সংসার জীবনের ছোট ছোট স্বপ্ন বুনছিলেন তারা। বিয়ে বার্ষিকী উপলক্ষে নৌকাতে ভাসতে ভাসতে কেক কাটা, সন্ধ্যায় একটু ঘোরাঘুরি, মালতীকে অবাক করে দিয়ে পলাশের উপহার দেয়া, স্বামী–স্ত্রীর খুনসুটি– সবকিছুই চলছিল সুন্দর ছন্দে। হঠাৎই একটি মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় সেই ছন্দ কাটে।
অভিনেত্রী, পরিচালক ছাড়াও ফিচার ফিল্মের প্রযোজক হিসেবে অভিষিক্ত হচ্ছেন নির্মাতা–প্রযোজক আদনান আল রাজীব। নির্মাতা হিসেবেই অধিক পরিচিত তিনি।
আদনান আল রাজীব জানান, যারা সিনেমাটি দখবেন, তারা একটা অনুভূতি নিয়ে বের হবেন। যারা গল্পের সিনেমা পছন্দ করেন, অনেকদিন প্রেক্ষাগৃহে আসেন না, তাদের সিনেমাটি ভালো লাগবে বলে মনে করেন তিনি।