প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৩, ০১:৫৬ এএম
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সেপ্টেম্বর মাসে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় মার্ডার-থ্রিলার ঘরানার ছবি ‘জানে জান’। এই ছবির মাধ্যমে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আত্মপ্রকাশ করলেন কারিনা। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি ৪৩ বছরে পা রাখেন অভিনেত্রী। ছবির অভিনেত্রী হিসেবে কারিনা নন, বরং বাঙালি পরিচালক সুজয় ঘোষের প্রথম পছন্দ ছিল ঐশ্বরিয়া। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।
২০০৫ সালে কেইগো হিগাশিনোর কলামে প্রকাশিত হয় ‘দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স’ উপন্যাসটি। এ কাহিনির ওপর ভিত্তি করে সুজয় যে একটি হিন্দি ছবি তৈরি করবেন তা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। এমনকি ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে এই ছবি নিয়ে আলোচনাও করেছিলেন সুজয়।
এক সাক্ষাতকারে ঐশ্বরিয়াকে প্রশ্ন করা হয় তাকে আগামী কোন ছবিতে দেখা যেতে পারে। অভিনেত্রী সেই প্রশ্নের উত্তরে জানান, সুজয়ের পরিচালনায় দুটি ছবিতে অভিনয় করার কথা তার।
তখন ঐশ্বরিয়া আরও জানান, ‘দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স’ উপন্যাসের ওপর নির্ভর করে সুজয় একটি ছবি বানাচ্ছেন। সুজয়ের ‘দুর্গা রানি’ ছবির কাজও রয়েছে আমার কাছে। অভিনেত্রী বলেন, ‘দুটি ছবির মধ্যে সুজয় কোন ছবির কাজ আগে শুরু করবেন সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘দুর্গা রানি’ নামে যে ছবিটির কথা ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন সে ছবিটির নাম বদলে ফেলেন সুজয়। শুধুমাত্র ছবির নাম নয়, অভিনেত্রীও বদলে ফেলেন তিনি।
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ছবির নাম পরিবর্তন করে ‘কাহিনি’ রাখেন পরিচালক। সে ছবিতে আর ঐশ্বরিয়া নন, বরং অভিনয় করতে দেখা যায় বিদ্যা বালনকে।
‘দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স’ উপন্যাসের ওপর নির্ভর করে যে ছবি নির্মাণের কথা ছিল তা থেকেও সরে যান ঐশ্বরিয়া। ছবির কাজও পিছিয়ে যায় অনেকটাই। পরে আবার এ ছবি নির্মাণ নিয়ে পরিকল্পনা করেন সুজয়। ঐশ্বরিয়ার পরিবর্তে সে ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান কারিনা।
‘জানে জান’ ছবির ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে কারিনা জানান, এই ছবির সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন তার জীবনসঙ্গী তথা বলি অভিনেতা সাইফ আলি খান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সুজয়ও। কথা প্রসঙ্গে সুজয় বলেন, ‘স্বামী হয়ে এ ছবির দায়িত্ব কারিনার ওপর দিয়ে দিয়েছেন সাইফ। সাইফের সঙ্গে এই ছবিতে কাজ করার কথা ছিল আমার কিন্তু কোনো কারণবশত একসঙ্গে কাজ করা আর হলো না।’
সুজয় বলেন, ‘প্রতিটি ছবিরই নিজস্ব ভাগ্য থাকে বলে আমি মনে করি। আগে সাইফের সঙ্গে কাজ করার কথা ছিল। পরে সেই ছবি কারিনার কাছে ফিরে এলো। আমার কাছে এ যেন এক চক্র পূর্ণ করল।’
কারিনা সাক্ষাতকারে জানান, ‘জানে জান’ ছবিটি নিয়ে সাইফের উৎসাহ বাঁধ ভেঙেছে। অভিনেত্রী বলেন, ‘ছবি কবে মুক্তি পাবে সে অপেক্ষায় দিন গুনছিল সাইফ। ট্রেলার মুক্তির পর সেই ভিডিওটিই চার বার দেখে ফেলেছে ও। ট্রেলার দেখেই সাইফ বলেছিল, সবাই তাদের চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন।’
সুজয়ের দাবি, ‘দ্য ডিভোশন অর সাসপেক্ট এক্স’ উপন্যাসটি পড়ার পর তিনি মনে মনে কল্পনা করে নিয়েছিলেন যে তিনটি চরিত্রে কে কে অভিনয় করবেন। সুজয় বলেন, ‘নরেন চরিত্রটি বেশ চমকপ্রদ। একদিকে গণিতে দক্ষ আবার অন্যদিকে মার্শাল আর্টসও জানে। জীবনে কোনো দিনও নিজের যত্ন নেয়নি সে। জয়দীপের জন্য এ চরিত্রটি একদম মানানসই ছিল।’
‘জানে জান’ ছবির প্রসঙ্গে সুজয় বলেন, ‘ইন্সপেক্টর কর্ণ চরিত্রের জন্য আমার এমন কাউকে প্রয়োজন প্রথম দেখাতেই যাকে মনে ধরে যায়। তাতে বিজয়ের কথা আমার মাথায় আসে।’
কারিনার প্রশংসা করে সুজয় বলেন, ‘মায়া চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য এক দক্ষ অভিনেত্রীর দরকার ছিল যিনি চরিত্রটিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে পারেন। আমি চিত্রনাট্য থেকে যা কল্পনা করতে পেরেছি কারিনা তার থেকেও বেশি কল্পনা করেছে। এমন অভিনেতারা থাকলে পরিচালক হিসেবে দায়িত্বও বেড়ে যায়।’
জেকেএস/