• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

কাউকে জোর করে আমার ভিডিও দেখতে বলছি না: নিলয়ের স্ত্রী

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৩, ১২:২৫ এএম

কাউকে জোর করে আমার ভিডিও দেখতে বলছি না: নিলয়ের স্ত্রী

বিনোদন ডেস্ক

কত রকম পরিচয় তাসনুভা তাবাসসুম হৃদির। একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা, সংবাদ উপস্থাপক এবং সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার। তার আরেকটি পরিচয় হলো তিনি মডেল ও অভিনেতা নিলয় আলমগীরের স্ত্রী। তবে অভিনেতার স্ত্রী হিসেবে পরিচিতি পেতে কখনই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না তিনি। এ নিয়ে কটাক্ষেরও শিকার হতে হয় তাকে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু নেতিবাচক বিষয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

ফেসবুকে হৃদি লিখেছেন, ‘আমি সত্যি কিছু কিছু মানুষের ওপর বিরক্ত। পরিচিতি পেতে নেগেটিভ কমেন্টকে প্রমোট করার মেয়ে আমি না। এসব নিতেও পারি না। কিছু কিছু মানুষের মন-মানসিকতা দেখে আমি সত্যিই জগৎটাকে অন্যভাবে চিনছি। এত নোংরা মানুষ যে দুনিয়াতে আছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় না এলে কল্পনাও করতে পারতাম না।’

তিনি লিখেন, ‘আমি খুবই সাধারণ একটা মেয়ে, নিজের মতো কাজ করতাম। আইডিতে ১২ হাজার ফলোয়ার নিয়ে খুব ভালো ছিলাম। এখানে হয়তো আমার অনেক পুরোনো ফলোয়ারও আছেন। যারা আমার আবৃত্তি শুনতেন, নিউজ দেখতেন। বিয়ের পর হঠাৎ করেই অনেক কাজের অফার আসে। আর পাঁচজন সাধারণ মেয়ের মতো আমিও প্রমোশনের অফারগুলো নিতে শুরু করি। এখন আমি বেশ সফল একজন ব্র্যান্ড প্রমোটার। কিন্তু এটার আড়ালে নিজের পরিচয়টা যখন দেখছি হারিয়ে যাচ্ছে, বিষয়টা নেওয়া খুবই কষ্টকর আমার জন্য।’

হৃদি বলেন, ‘কেউ যখন আমার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, আমার হাজার কাজ, হাজার সার্টিফিকেট দেখিয়েও নিজের সেই পুরনো পরিচয় তাদের মানাতে পারি না। তখন আমি নিতেই পারি না। আমি সংবাদ উপস্থাপনা করেছি, সেটা তারা মানে না। আমি ভালো আবৃত্তি করি বললেও দোষ। আমার স্কুল কলেজ, এমনকি ফেসবুকের বন্ধুরা সবাই জানে, আমি কি কি করেছি। তাও যখন কিছু মানুষ এসে আমাকে অযোগ্য বলে, আমি নিতেই পারি না।’

নিলয়ের স্ত্রী বলেন, ‘বাহ্যিক দুনিয়া যে বাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে বিচার করে, এটা আমি আগে জানতাম না। আমাকে তুলনা করে, আমার সৌন্দর্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে। অথচ আমি যে আমার মতো সুন্দর এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহই ছিল না। এখন আমারও মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়। আমি খুব ধৈর্যশীল, মিষ্টভাষী মেয়ে। যতই চাই সবাই আমাকে পজিটিভভাবে দেখুক, তাদের হিংসা, বিদ্বেষ আমাকে ততই নিচে নামিয়ে দেয়। কনফিডেন্স ভেঙে দেয় আমার। আমি বুঝতেই পারলাম না, আমি ভালো থাকলে তাদের কী সমস্যা!

হৃদি বলেন, ‘পুরোনো সম্পর্ক নিয়ে না জেনে নিজের মনগড়া মন্তব্য করে তারা, তুলনা করে। এসব আমি আর নিতে পারি না ভাই। ব্র্যান্ড প্রমোশন করছি ভালো লাগে তাই। কাউকে জোর করে আমার ভিডিও দেখতে বলছি না। তারা দেখবেও। বাজে কথাও বলবে। কী অদ্ভুত কলুষিত জাতি আমরা, কতটা নিচ আর জঘন্য। কেউ অপরাধী না হলেও তাকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। যদি সত্যিই আমার মন আয়নার মতো স্বচ্ছ হয়ে থাকে, আমি দোয়া করে যাচ্ছি আমাকে যা যা বলছেন, সব যেন আপনারা ফেরত পান। আর আমার কথা তখন মনে পড়ে। আমি কেউ না, তাতেই এ অবস্থা। যারা অনেক বড় বড় মানুষ, তারা যে আপনাদের কিভাবে সহ্য করে, আল্লাহ জানে।’

 

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

আর্কাইভ