• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

হোটেলে কী করছিলেন জায়েদ-সায়ন্তিকা, প্রশ্ন প্রযোজকের

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩, ০১:৪৮ এএম

হোটেলে কী করছিলেন জায়েদ-সায়ন্তিকা, প্রশ্ন প্রযোজকের

ছবি: সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক

গত আগস্ট মাসের ৩০ তারিখে কলকাতা থেকে ঢাকায় উড়ে আসেন টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জী। বাংলাদেশের ‘ছায়াবাজ’ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে অভিনয় করছেন তিনি। এদিন বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ওই সিনেমার নায়ক জায়েদ খান।

একই দিন এই জুটি উড়াল দেন কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে একটি গানের দৃশ্যধারণের মাধ্যমে শুরু হয় সিনেমার শুটিং। প্রথমবার বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ হন সায়ন্তিকা।

এরপর হঠাৎ করেই কক্সবাজারে সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিলেও নৃত্য পরিচালকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে শুটিং বন্ধ করে কলকাতায় ফিরে যান এই নায়িকা।

পরে চলমান এই দ্বন্দ্ব নিয়ে ভারতীয় এক গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সায়ন্তিকা। তিনি জানান, প্রথমে অন্য এক নৃত্য পরিচালক এসেছিলেন নাচের দৃশ্যে শুটিংয়ের জন্য। কিন্তু সেখানে টাকা-পয়সা নিয়ে সমস্যার কারণে তিনি চলে যান। তারপর মাইকেল নামক বাচ্চা ছেলেটি আসে। আমি একজন পেশাদার অভিনয়শিল্পী। তাই এই ধরনের কাজ করার কথা ভাবতেই পারি না। সেদিন শুটিং সেটে অনুমতি না নিয়েই মাইকেল আমার হাত ধরে আমাকে সরাতে গিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, আমি তখন সবার সামনেই তাকে বাধা দিই। এ ছাড়া মূল সমস্যার পেছনে আরেকটি কারণ হচ্ছে সিনেমার প্রযোজক। বেশ কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা নিয়ে বারবার আমি প্রযোজক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তার পক্ষ থেকে কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। দুদিন ধরে কক্সবাজারে গিয়ে অপেক্ষা করেছি। শুটিং নিয়ে প্রযোজকের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। হঠাৎই বলা হলো, নাচের দৃশ্যের শুটিং করা হবে! তাই তখন বলেছিলাম, আমি এভাবে কাজ করব না মাইকেলের সঙ্গে।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে জায়েদ খান বলেন, কিছু তথ্য গণমাধ্যমে যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বিষয়টি আসলে তেমন নয়। গানের কাজ শেষ হওয়ায় তিনি চলে গেছেন। নৃত্য পরিচালকের সঙ্গে একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল, যদিও পরে ঠিক হয়ে গেছে।

এদিকে সায়ন্তিকার এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সিনেমার প্রযোজক মনিরুল ইসলাম সম্প্রতি মুখ খুলেছেন। নায়িকার অভিযোগের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি তিনিও সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে অপেশাদারিত্বের অভিযোগ তুলেছেন।

প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সায়ন্তিকার সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও হাস্যকর। হাত ধরা নিয়ে সায়ন্তিকার সমস্যা মাইকেল বাবুর সঙ্গে। তিনি পরিচালককে ফোন করে মাইকেল বাবুকে মারতেও চেয়েছিলেন। এখন আমার বিরুদ্ধে সায়ন্তিকা কেন অভিযোগ করছেন, সেটাই তো বোধগম্য নয়। কীভাবে শুটিং হবে, এটা ঠিক করেন পরিচালক। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল গানের দৃশ্য দিয়ে শুরু হবে শুটিং। অপেশাদার আচরণ আমি করিনি, সায়ন্তিকা করেছেন। চুক্তির বাইরে আমরা তাকে ৫০ হাজার রুপি দিয়েছি পোশাকের জন্য। অথচ তিনি কোনো পোশাক নিয়ে আসেননি। এরপর আবার ড্রেসম্যান মনিরকে দিয়ে পোশাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেই পোশাকগুলোও সায়ন্তিকা ফেরত দিয়ে যাননি।

তিনি আরও বলেন, মাইকেলের ডিরেকশনে গানের শুটিং করার সময় ড্রেস পরিবর্তন করার জন্য দুপুর ২টায় হোটেলে যান নায়ক-নায়িকা। ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টায়। ড্রেস চেঞ্জ করতে চার ঘণ্টা সময় লাগে, এমনটি কখনো দেখিনি। এ ছাড়া যেদিন আমরা শুটিং প্যাকআপ করে পুরো ইউনিট নিয়ে চলে আসি, সেদিন নায়ক-নায়িকা হোটেলেই থেকে যান। ওই দিন তারা সেখানে কী করছিলেন? এ প্রশ্নের জবাব তারা কী দেবেন? এ কথাগুলো কখনো সামনে আনতে চাইনি। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।

এর আগে, বিষয়টি নিয়ে নৃত্যশিল্পী মাইকেল বলেন, সায়ন্তিকার হাত ধরে নাচের স্টেপ দেখানো হচ্ছিল। এ সময় তিনি বলেন, হাত ধরো না, মুখে বুঝিয়ে দাও। কথা না বাড়িয়ে সেভাবেই তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি আমি। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কোনো তর্ক-বিতর্কও হয়নি আমার।

কিন্তু কাজ শেষে পরিচালক ও প্রযোজককে সায়ন্তিকা জানান, আমি এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত থাকলে কাজ করবেন না তিনি। ঘটনা শুনে পরিচালক ও প্রযোজক আমার সঙ্গে কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলে সায়ন্তিকা কলকাতায় চলে যান। আমার সঙ্গে আসলে সায়ন্তিকার কী সমস্যা সেটাই বুঝতে পারছি না।

প্রসঙ্গত, জায়েদ-সায়ন্তিকার ‘ছায়াবাজ’ সিনেমাটি নির্মাণ করছেন তাজু কামরুল। এদিকে নায়িকা ও প্রযোজকের পালটাপালটি অভিযোগে ‘ছায়াবাজ’ সিনেমাটি নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ