• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

মনে হচ্ছিল মারা যাব : তানজিন তিশা

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৩, ০৮:১০ পিএম

মনে হচ্ছিল মারা যাব : তানজিন তিশা

ছবি: সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক

তরুণ প্রজন্মের ক্রেজ তানজিন তিশা। নিয়মিত কাজ করছেন ওটিটি প্লাটফর্ম, টিভি নাটক, বিজ্ঞাপনচিত্র ও মিউজিক ভিডিওতে। তবে হঠাৎ করেই সোমবার (৭ আগস্ট) জানা যায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তবে তার ভক্তদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ।

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। গেল কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তানজিন তিশা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোববার (৬ আগস্ট) রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে।

বাসায় ফিরে গণমাধ্যমকে নিজের অসুস্থতা নিয়ে তিশা বলেন, কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলাম। গতকাল শরীরটা একটু বেশি খারাপ হয়। জ্বর ওঠে ১০৩ ডিগ্রি। জ্বরটা বেশি হওয়ার কারণে বাসায় চিকিৎসক ডেকে স্যালাইন নিয়েছিলাম। কিন্তু এর পরপরই শরীর আরও খারাপ হয়। মনে হচ্ছিল, পুরো শরীর পুড়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছিলাম। অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হই।

হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসা শুরু হলেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না তার। বরং আরও খারাপ হতে থাকে। তিশা বলেন, চিকিৎসক দেখার পর একটি ওষুধ দেন। যদিও ওষুধ দেওয়ার আগে চিকিৎসক বলেছিলেন, এটি নেওয়ার পর একটু কষ্ট হবে। ওষুধ নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মনে হলো পুরো শরীরে যেন আগুন ধরে গেছে। এমন যন্ত্রণা শুরু হলো, এত কষ্ট হচ্ছিল, মনে হচ্ছিল আমি মারা যাব। যেন মৃত্যুযন্ত্রণা কাছ থেকে দেখেছি, অনুভব করেছি। ওই সময় আমার মাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। প্রায় তিন ঘণ্টা পর কিছুটা স্বস্তি আসে। একটু সুস্থবোধ করি।

কেন এমন হলো— জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গুসহ আরও কিছু পরীক্ষা করিয়েছি। এসব হয়নি। আমি কিছুদিন ধরে ডায়েট করছিলাম। তা ছাড়া কিছুদিন ধরে দুশ্চিন্তাও করছিলাম। চিকিৎসকের ধারণা, এসব মিলিয়েই এমনটি হয়েছে।

তিশা আরও বলেন, চিকিৎসক ডায়েট বন্ধ করতে বলেছেন, দুশ্চিন্তা না করতে বলেছেন। প্রচুর খেতে বলেছেন। এখন বাসায় বিশ্রামে আছি। চিকিৎসকের পরামর্শেই চলছি। শারীরিক দুর্বলতার কারণে যদিও ওইভাবে এখনও খাওয়াদাওয়া করতে পারছি না। কাল আবার হাসপাতালে যাব, ডাক্তার দেখাব।

প্রসঙ্গত, এদিকে বেশ কিছুদিন হলো শুটিংয়ে অংশ নেননি তানজিন তিশা। নতুন কোনো শুটিংয়ের শিডিউলও দেননি। সুস্থ হওয়ার পরেই আবার শুটিংয়ে অংশ নেবেন তিনি।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ