প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৩, ০৬:২৩ পিএম
গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড, যে দুনিয়ার সাফল্যের স্বাদ পেতে গেলে অনেক চড়াই উতরাই পার করতে হয়। আর একবার পৌঁছে গেলে তার নেশাই আলাদা। যেখানে গাড়ি, বাড়ি, সাজ-পোশাক সবেতেই থাকে স্ট্যাটাস সিম্বল। তবে জানেন কি বলিউডের এই সুপারহিট নায়িকাদের মধ্যে কেউ কেউ অভিনয়ের আড়ালে দেহ ব্যবসা , মাদক পাচার, আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গেও সংযুক্ত? এমনি কয়েকজন তারকার নাম তুলে ধরা হল।
সায়রা বানু : এই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির অভিনেত্রী ২০১০ সালে দেহ ব্যবসা চালানোর অপরাধে গ্রেফতার হন। হায়দ্রাবাদ পুলিশ রেইড চালিয়ে কুন্দনবাগ এলাকা থেকে তাকে আটক করে। তার সঙ্গে ছিল জ্যোতি নামের আরও এক অভিনেত্রী যাকে হাতেনাতে ধরেছিল পুলিশ।
আইস আনসারী : আইস একজন প্রখ্যাত তামিল অভিনেত্রী। তাকে ২০১৩ সালে দেহ ব্যবসার অপরাধে গ্রেফতার করে পুলিশ। যোধপুর পুলিশ এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে এক চক্র সমেত হাতেনাতে এই তামিল অভিনেত্রীকে ধরে ফেলে।
দিব্যশ্রী : তামিল এবং তেলেগু ছবিতে কাজ করার দরুণ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন দিব্যশ্রী। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে এক দেহ ব্যবসার চক্রের সঙ্গে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। যে কারণে তাকে গ্রেফতার হতে হয়।
কিন্নেরা :
তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নায়িকা কিন্নেরা প্রধানত টিভি সিরিয়ালের জন্য বেশি জনপ্রিয় ছিলেন। তবুও তিনি পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। দেহ ব্যবসা করতে গিয়েই পুলিশের হাতে না হাতে ধরা পড়েন এই অভিনেত্রী।
শার্লিন চোপড়া :
বিগ বস রিয়েলিটি শোয়ের তৃতীয় সিজনের প্রতিযোগী ছিলেন শার্লিন। এছাড়াও তিনি এমটিভি স্প্লিট ভিলা সিজন সিক্সের উপস্থাপক ছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি কয়েকটি তামিল, তেলেগু এবং বলিউড ছবিতে কাজ করেছেন। কিন্তু শার্লিনও একসময় দেহ ব্যবসায় নাম লিখিয়েছিলেন।
ভুবনেশ্বরী : ভুবনেশ্বরীও দক্ষিণী সিনেমার বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তিনি সিনেমার পাশাপাশি বেশ কিছু টিভি সিরিয়ালেও কাজ করেছিলেন। ২০০৯ সালে তাকে একটি দেহ ব্যবসার চক্রের সঙ্গে পুলিশ গ্রেফতার করে। কিন্তু রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার সুবাদে ছাড়া পেয়ে যান।
শ্বেতা বসু :
মাত্র ১১ বছর বয়সে বিশাল ভরদ্বাজের ‘মাকড়ি’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলেন। শ্বেতাও ২০১৪ সালে হায়দ্রাবাদের বানজারা হিলসের একটি হোটেলে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।
জেকেএস/