প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৩, ১০:১৩ পিএম
আর ডি বর্মণ বা রাহুল দেব বর্মণের নাম শোনেননি এমন বাঙালি হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিশোর কুমার, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলের অনেক জনপ্রিয় গানের সুর-সংগীত করেছেন তিনি। ষাট থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত ২৯২টি হিন্দি সিনেমার সংগীত ও ৩১টি বাংলা সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছেন আর ডি বর্মণ।
পঞ্চাশ থেকে সত্তরের দশক পর্যন্ত পূজায় নতুন গান ছাড়া বাঙালির শরদোৎসব জমতই না। আর ডি প্রথম পূজার গান করেছিলেন ১৯৬৯ সালে। ‘মনে পড়ে রুবি রায়’। গানটির কথা লিখেছিলেন শচীন ভৌমিক। ট্রাজিক প্রেমের গানটির সুর আরডি বর্মণের। পূজা উপলক্ষে প্রকাশ হওয়া গানটি সে সময় বঙ্গ তনয়-তনয়াদের হৃদয়ে ঝড় তুলেছিল।
হৃদয়ভাঙা তরুণরা তখন ‘রুবি রায়’-এর মধ্যে নিজের হারিয়ে যাওয়া প্রিয়তমাকে খুঁজে পেত! প্রতিটি তরুণের জীবনে হয়তো এক বা একাধিক রুবি রায় আছে, যাদের নাম ভিন্ন। কিন্তু গানটি শুনতে লুকানো বা হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকার অবয়ব চোখে ভাসবেই। আর তাই গানটি উঠেছিল মুখে মুখে।
‘মনে পড়ে রুবি রায়’ গানটি সুবর্ণজয়ন্তী পার করেছে আরও চার বছর আগে। এতগুলো বছর পরও বাঙালির প্রিয় গানের তালিকার শীর্ষে এর অবস্থান। জানেন কি, আর ডি বর্মণের সেই রুবি রায় আসলে কে? বা কীভাবে তৈরি হয়েছিল বিখ্যাত এ গানটি?
ছবি রায় নামের এক মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন গানটির গীতিকার শচীন ভৌমিক। শচীনবাবুকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ছবি রায়। তাকে স্মরণ করেই গানটি করেছেন শচীন ভৌমিক। আর তা কণ্ঠে তুলেছেন আরডি বর্মণ। গানটি প্রকাশের পর রীতিমতো হইচই পড়ে যায় সে সময়।
‘রুবি রায়’-এর সুরে হিন্দি একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন কিশোর কুমার। গানটি ছিল ‘মেরি ভিগি ভিগি সি’। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অনামিকা’ সিনেমার গান ছিল এটি। এটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।
এডিএস/