প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৩, ১১:২৭ পিএম
অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। সোহানুর রহমান সোহানের ‘অনন্ত ভালোবাসা’ সিনেমার মাধ্যমে। ১৯৯৯ সালের ২৮ মে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। ‘মশাল’ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাকে। বলছিলাম, ঢাকাই সুপারস্টার শাকিব খানের কথা।
অভিনয় ক্যারিয়ারে দুই যুগ পূর্ণ করেছেন শাকিব খান। তারকাখ্যাতি দিয়ে পৌঁছেছেন অসংখ্য ভক্তের হৃদয়ে। ভালোবাসা পেয়েছেন গণ্ডি পেরিয়েও। হয়ে উঠেছেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী-অপ্রতিরোধ্য নায়ক।
শাকিব খানের ক্যারিয়ারে উত্থান নায়ক মান্নার মৃত্যুর পর। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৭-০৮ সালে তার ২৯টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। যেগুলোর প্রায় সবকটি ছিল ব্যবসা সফল। ১৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’ সিনেমাটি। বদলে গিয়েছিল ঢাকাই সিনেমার চেহারা।
লম্বা পথ পাড়ি দেয়া প্রসঙ্গে শাকিব খান বলেন, ‘সিনেমার কারণেই আজকের এই আমি। মানুষের অবিরাম ভালোবাসা আমাকে স্বপ্ন দেখায়। তাই এখন বছরে অল্প সংখ্যক সিনেমা করতে চাই। ভালো-ভালো প্রজেক্টের সঙ্গে থাকতে চাই। এমন কিছু করতে চাই না যেটা আমার দর্শকরা পছন্দ করবে না। তাদের জন্য আজকের এ শাকিব খান হতে পেরেছি।’
শাকিব খান বিশ্বাস করেন দর্শক আর সিনেমার প্রতিটি মানুষের জন্য তিনি আজকের এ অবস্থানে। তাই দুই যুগ পূর্তির এ দিনে বিশেষ করে ভালোবাসা জানিয়েছেন দর্শক ও সিনেমা সংশ্লিষ্টদের।
উত্তরে শাকিব খান বলেন, ‘কোনো মূলমন্ত্র নেই। তবে একজন হিরোর সাফল্যের মূলমন্ত্র কিন্তু দর্শকদের ভালোবাসা। নায়ক যদি দর্শকদের চাওয়া-পাওয়ার মূল্য দেয়, তাহলে দর্শকদের কাছে সে গ্রহণযোগ্যতা পায়। সাফল্যও আসে।’
এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত ২৪৭টি সিনেমা। সবশেষ মুক্তি পেয়েছে তপু খান পরিচালিত ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’। ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘প্রিয়তমা’।
শাকিব খানের প্রকৃত নাম মাসুদ রানা। গোপালগঞ্জে তার জন্ম, নারায়ণগঞ্জে বেড়ে ওঠা। দুই যুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে দেড়যুগই রাজত্ব করেছেন তিনি। হয়ে উঠেছেন ঢালিউড কিং, ঢালিউড ভাইজান, কিং খান।
এডিএস/