• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

কান উৎসবে নিরব বাংলাদেশের স্টল

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৩, ০৬:২১ পিএম

কান উৎসবে নিরব বাংলাদেশের স্টল

ছবি: সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক

আলো ঝলমলে উৎসবের আমেজে মজে থাকার কথা সবার সেখানেই অন্ধকার আর সুনসান নীরবতা। সিনেমা মানেই আনন্দ, তারকা আর উৎসব। তবে এখানে চিত্র কিছুটা ভিন্ন। আছে সিনেমার পোস্টার, নির্মাতা, প্রযোজক সবই, কেবল নেই শুধু মুখরতা।

কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৬তম আসরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি স্টল বসেছে। লক্ষ্য বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করে তোলা।

তবে অন্যান্য স্টলের আড়ম্বরটা আর নানা আয়োজনের কাছে খেই হারিয়েছে বাংলাদেশের স্টল। যেখানে বিএফডিসির নাম থাকলেও নেই সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির দেখা।

অনেকটা নিরুপায় হয়ে নিজের সিনেমার পোস্টার নিয়ে নিজেই বাংলাদেশের স্টলে আসন নিয়েছেন নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার। যদিও কণ্ঠে ছিল অভিযোগের সুর।

নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, এখানে হতাশা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু বলার নাই। আসলে বিএফডিসির দোষ দিয়ে লাভ নাই, আমাদের সরকার বা আমাদের পলিসি আসলে কি আমি বুঝি না। বাংলাদেশের একটি স্টল নেয়া হয়েছে যেটি কিনা অনেক আগে থেকেই প্ল্যান করে নেয়া হয়েছে। তাহলে যারা এই স্টলটি চালাবেন তাদের জিও কেন সরকার দেবে না?

তিনি আরও বলেন, এটি বাংলাদেশের সিনেমা, বাংলাদেশের স্টল। এটির প্রতিনিধিত্ব করবে বাংলাদেশের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য যারা তারা। সেই গ্রহণযোগ্য কেউ আছেন কিনা আমি সেটাও জানি না।

বাংলাদেশের প্রথম সারির নির্মাতা বা তারকারা আসবেন বলে এ নির্মাতা আশা প্রকাশ করেন।

কান চলচ্চিত্র উৎসবের বাণিজ্যিক শাখা মার্শে দ্যু ফিল্ম বিভাগের আওতায় ২০ মে পালে ই থিয়েটারে দেখানো হবে পরীমণি অভিনীত ও অরণ্য আনোয়ার পরিচালিত মা চলচ্চিত্রটি।

এ বছর ফ্রান্সের উপকূলীয় এলাকা ফ্রেঞ্চ রিভেরায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। কান সৈকতে এসে ভিড় করেছে বিশ্বের দামি সব ইয়ট (প্রমোদতরি)। যেগুলো বোঝাই করে এসেছেন বিশ্বের অনেক নামি-দামি শিল্পী-নির্মাতা-প্রযোজক। পাশাপাশি পালে ভবনের দুই পাশে তৈরি হয়েছে অসংখ্য প্যাভিলিয়ন। যেটাকে বলা হয়ে থাকে উৎসবের বাণিজ্যিক শাখা মার্শে দ্যু ফিল্ম।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ