প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৩, ০৭:২০ পিএম
ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক গতকাল সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। সেই শোকই তুলে ধরা হলো-
সোহেল রানা: তার চলে যাওয়ায় বেশ কষ্ট পেয়েছি। অনেক দিন ধরেই চিকিৎসা চলেছে তার। তবে অভিনেতা হিসেবে সব সময় দর্শকদের মনে বাস করবেন তিনি। দোয়া করছি আল্লাহ্ যেন তাকে বেহেশ্ত নসিব করেন।
আলমগীর: ফারুক ভাই দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। তার মতো অভিনেতার চলে যাওয়া বড় একটা ক্ষতি বাংলাদেশের জন্য। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
আহমেদ শরীফ: নিজ কর্মের মাধ্যমে তিনি আজীবন সাধারণ মানুষের অন্তরজুড়ে বাস করবেন। এক সময় তার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছে বাঙালি জাতি।
এমনি একজন অভিনেতার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গনের ক্ষতি হয়ে গেল। মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
অঞ্জনা: কথাটা শোনার পরেই বুকের ভিতর ছ্যাত করে উঠলো। চলে গেলেন আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি চিত্রনায়ক, আমার অসংখ্য সুপার বাম্পারহিট চলচ্চিত্রের জননন্দিত মাটি ও মানুষের সফল চিত্রনায়ক ফারুক ভাই। ফারুক ভাই আপনি বেঁচে থাকবেন আপনার অনবদ্য শ্রেষ্ঠ কর্মের মাধ্যমে কোটি দর্শকের হৃদয়ে।
রোজিনা: শুধু আমার নায়ক নন, ফারুক ভাই ছিলেন আমাদের চলচ্চিত্রের অভিভাবক। যখন তার চিরবিদায়ের খবরটি পেলাম কান্না চেপে রাখতে পারিনি। বুকের ভেতর হাহাকার করে উঠলো। মনে হচ্ছে পৃথিবীটা শূন্যতায় ভরে গেল।
শাকিব খান: যতদিন তিনি সুস্থ সবল ছিলেন, ততদিন আমাকে স্নেহে আগলে রেখেছিলেন। আমার যেকোনো ভালো কাজ এবং ছবির পোস্টার কিংবা ট্রেলার রিলিজ দেখে তিনি নিজ থেকে অ্যাপ্রিশিয়েট করে গর্বিত হতেন। আমার কাছে শ্রদ্ধাভাজন এই মানুষটি ছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রাজ্ঞজনদের একজন। কাজে কিংবা কাজের বাইরে এই মহান মানুষটির সঙ্গে আমার অসংখ্য স্মৃতি। তার প্রয়াণে একজন অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছি।
জেকেএস/