প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২৩, ০৪:২৮ পিএম
সম্প্রতি ফেসিয়াল প্যারালাইসিসে আক্রান্ত সংগীতশিল্পী তাসরিফ খানকে ফেসবুক লাইভে এসে অভিশাপ দিয়েছিলেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। এর ২০ দিন পরে এসে গত শুক্রবার তাসরিফের কাছে ক্ষমা চাইলেন তিনি। এ নিয়ে গত শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে হিরো আলম লেখেন, ‘কিছুদিন আগে তাসরিফ খানকে নিয়ে আমি কিছু কথা বলি এটা সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি ছিল, আর এই বিষয়টি পরবর্তিতে কথা বলে বুঝতে পেরেছি। লাইভে এসে ব্যঙ্গ করাটা আমার একদম উচিত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে বিষয়টা আমি এভাবে বলতে চাইনি, আমি পুরোটা হয়তো গুছিয়ে বলতে পারিনি, তাই অনেকে আমাকে ভুল বুঝেছেন, আমি তার জন্য ক্ষমা প্রাপ্তি এবং দুঃখিত। এবং আশা করি তাসরিফ খান বিষয়টা মন থেকে মুছে ফেলবে। দেশবাসীও আমাকে ক্ষমা করবে।’
এর আগে গত ১০ মার্চ ফেসবুক লাইভে এসে হিরো আলম বলেন, ‘আল্লাহ্ পাক চাইলে মানুষকে পতন করতে পারে, এক মিনিটে। আপনারা সবাই জানেন তারই একটা চাক্ষুস প্রমাণ তাসরিফ খান। সে কিন্তু খুব ভালো গান গায়, সিঙ্গার। আল্লাহ্ পাক তার কণ্ঠ ভালো দিয়েছে। আজকে তার মুখের কিন্তু কী করেছে দেখেছেন? প্যারালাইসিসে মুখ বাঁকা হয়ে গেছে। এটা হলো অহংকারের পতন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে চাঁদপুরে একটা প্রোগ্রামের কথা ছিল আমার। সেখানে আমি ছিলাম, তাসরিফ ছিল, আরও অনেকে ছিল। এই তাসরিফ যখন শুনেছে আমি ওই প্রোগ্রামে যাবো, সে বলেছে- হিরো আলম ওখানে গেলে আমি প্রোগ্রামে যাবো না। এই তাসরিফ কিন্তু একদিন এটা বলেছিল। আজকে তার অবস্থা দেখেছেন?’
হিরো আলমের এমন বক্তব্যের পরদিন ফেসবুক লাইভে এসে বরং তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান তাসরিফ। হিরো আলমের উদ্দেশে তাসরিফ বলেন, ‘আমি দেখেছি একটা লাইভে আপনি আমাকে অভিশাপ দিয়েছেন। আপনার অভিশাপ দেয়া নিয়ে আমি কিছুই মনে করিনি। আমার একটা জায়গায় কথা, আপনি বলেছেন- চাঁদপুরে কোনো একটা কনসার্টে আমার যাওয়ার কথা ছিল, যেখানে আপনারও আসার কথা ছিল। আমি নাকি বলেছি, আপনি আসলে আমি যাবোনা! এই যে তথ্যটা আপনাকে যেই দিয়েছে বা মনগড়া তথ্যই হোক,এটা একটা ভুল কথা।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাকে আমি জানাতে চাই যেসব কাজ আপনি করেন, আপনার যে সৎসাহস এবং আপনার যে ডেডিকেশন-এফোর্ট, সেটাকে আমি অনেক রেসপেক্ট করি। আমরা অনেক সময় অনেকের কথা শুনে অনেক সময় ভেঙে পড়ি, কিন্তু আপনার থেকে এই জিনিসটা মনে হয় আমার নিজেরও শেখার আছে। সো আপনার জায়গাটা আমার কাছে রেসপেক্টের জায়গা।’