প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৩, ০৪:৫৪ পিএম
এবার রুচির দুর্ভিক্ষে হিরো আলমের উত্থান হয়েছে বলে নাট্যজন মামুনুর রশীদ যে মন্তব্য করেছেন তার প্রতি’বাদ জানিয়েছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। এ নিয়ে আত্মহত্যারও হুমকি দিয়েছেন তিনি। হিরো আলম বলেছেন, আপনাদের রুচিসম্পন্ন মানুষের কারণে যদি আমি আত্মহত্যা করি, তবে এর দায় আপনাদেরই নিতে হবে।
গত রবিবার (২৬ মার্চ) অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি অনুষ্ঠানে মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজ’নৈতিক সমস্যা, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।’
গত রবিবার গণমাধ্যমে ‘রুচির দুর্ভিক্ষে হিরো আলমের উত্থান: মামুনুর রশীদ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি ভাইরাল হয় ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে। এ প্রেক্ষাপটে সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন হিরো আলম। বলেন নানা বিষয় নিয়ে কথা। হিরো আলম বলেন, ‘তাদের মতো এত বড় মানুষ আমাকে নিয়ে কথা বলেছেন। এটা আমার জন্য সৌভাগ্য। তিনি বলেছেন, মানুষের রুচি নাকি নষ্ট হয়ে গেছে। আমি নাকি ১৮ কোটি লোকের রুচি নষ্ট করেছি। আপনারা কেন আমাকে সাপোর্ট করেন, রুচি নষ্ট করেন।’
তিনি বলেন, ‘স্যার আপনি আমাকে নিয়ে যে কথাবার্তা বলেছেন, অনেক আর্টিস্ট আপনার হাতে তৈরি। অনেক লোক আপনার হাতে তেরি। স্যার আপনি ইচ্ছে করলে কিন্তু আমাকে তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু করেন না। হিরো আলমের জন্য, বাংলাদেশ নাকি আমার কারণে নষ্ট হচ্ছে। যখন নাটকে গালিগালাজ করে, তখন কি আপনাদের রুচি নষ্ট হয় না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কী অপরাধ, কেন আমার লেখাপড়া নাই, চেহারা নাই? আপনার ছেলে যদি হতাম আমি। এভাবে বলতে পারতেন কেউ। হিরো আলমের মামা খালু নাই, ওয়েট নাই। অনেক এমপি দেখছি সমাজের, দেশের, মানুষের কথা বলে না। নিজেরা ব্যস্ত।’ হিরো আলম বলেন, ‘মানুষের রুচি কেন নষ্ট হবে। কয়টা লোকের রুচি আছে, সংসদে যারা তাদের কয়জনের লেখাপড়া আছে। ১৮ কোটি লোক থাকতে আমাকে নিয়ে কেন রুচিতে বাধে আপনাদের। হিরো আলমকে মেরে ফেলে দেন। মেরে না ফেলে দিলে কেউ থামাতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার যোগ্যতায় আলম থেকে আজ হিরো আলম। মামুনুর রশীদ স্যার, আপনি আমাকে তৈরি করুন। আমাকে তৈরি করবে কে। আমাকে কেউ তৈরি করবে না। তাহলে রুচির পরিবর্তনও হবে না।’ হিরো আলম বলেন, ‘আজ আমার জন্য কে দায়ী। আরে ভাই, আপনার আমাকে নিয়ে কথা কেন বলেন। কেন ভাই। একদিন এমন লাইভ করে পৃথিবী থেকে চলে যাব। আপনার রুচি নিয়ে থাকেন। আমি যদি আ’ত্মহ’ত্যা করি, এর জন্য দায়ী থাকবেন আপনারা।’
তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের কাজগুলো দেখেন, রুচি আছে কি না। কত রুচি সম্পন্ন গান উপহার, নাটক বানাতে পারি। এতে আমার কী করণীয়। লাইভে হিরো আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি আমাকে জেলে দেন। আমাকে সাহায্য করেন কেউ? করেন, করেন না। আমাকে ধিক্কার দেয়া বন্ধ করুন। আপনারা বড় বড় কথাবার্তা বলেন। রুচি চেঞ্জ করতে পারেন না কেন। আমি কি অপরাধ করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ আ’ত্মহ’ত্যা কখন করে জানেন? সবকিছুতে টর্চারিং করতেছেন। আমি যদি রুচি নষ্ট করে থাকি। টিকটক দেখেন তো। কেন তাদের বন্ধ করতে পারতেছেন না। অন্যদের নিয়ে কথাবার্তা বলেন না। এসবের আমি যদি আ’ত্মহ’ত্যা করি। এর জন্য দয়ী থাকবেন রুচিসম্পন্ন মানুষেরা। অন্যদের মতো আমি তো এই রুচি নিয়ে আসি নাই।’