• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

‘নিয়মিত যৌনকর্মীদের কাছে নিয়ে যেতে হতো নায়ক শাকিব খানকে’

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩, ১২:১৬ এএম

‘নিয়মিত যৌনকর্মীদের কাছে নিয়ে যেতে হতো নায়ক শাকিব খানকে’

ছবি: সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক

নায়ক শাকিব খানের অসংখ্য চাহিদা থাকে নতুন কোন সিনেমার শুটিংয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন না। তবে সেই চাহিদার তালিকায় ‘নারী লোভ’র বিষয়টি রীতিমত সবাইকে চমকে দিয়েছে। ঢালিউড ইন্ড্রাস্ট্রির শীর্ষ এই নায়কের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। এসব নিয়ে দেশের বাইরে অস্ট্রেলিয়ায় একটি মামলাও করেছেন তিনি। সেই মামলার আর অভিযোগ গত বুধবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতিতে লিখিত আকারে জমা দেন এই প্রযোজক।

প্রযোজক রহমত উল্লাহ’র দাবী, ২০১৭ সালে চুক্তি মোতাবেক শাকিব খান তার প্রযোজনায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিং শুরু করেন অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু সেখানে শাকিবের অসদাচরণ ও অসহযোগিতার কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পরতে হয়েছে প্রযোজককে।

আজ বিকেলে সশরীরে এফডিসিতে লিখিতি অভিযোগে প্রযোজক উল্লেখ করেন, শাকিব খানের ব্যয়বহুল যৌ*চারের। তাকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো, আর তা না হলে তার হোটেল কক্ষে অস্ট্রেলিয়ান যৌ*কর্মীদের নিয়ে আসতে হতো। এই ব্যাপারটি ছিল প্রতিদিনের রুটিন। কখনো কখনো একাধিকবার। এসব যৌ*কর্মীদের মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক প্রযোজককেই দিতে হতো।

সেসময় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা তুলে ধরে রহমত উল্লাহ বলেন, ‘একবার শাকিব আমাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। 

নির্যাতিতা তখন এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত নারী। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার পর তিনি এবং তার পরিবার সামাজিকভাবে যেই গ্লানি এবং কুৎসার স্বীকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের এবং তার পরিবারের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওদিন আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত, শাকিব খান সেইদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে পালিয়ে যান।

আর্কাইভ