• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ছেলের জন্য জীবনে শান্তি নেই! প্রনীলকে নিয়ে চিন্তার কথা জানালেন অভিনেত্রী রচনা

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩, ০২:৪২ এএম

ছেলের জন্য জীবনে শান্তি নেই! প্রনীলকে নিয়ে চিন্তার কথা জানালেন অভিনেত্রী রচনা

ছবি: সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক

অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান। তিনি কয়েক দশক ধরে বিনোদন জুগিয়ে আসছেন দর্শকদের। টলিউডের প্রথম সারির এই অভিনেত্রী  নিজের পেশার সাথে সাথেই একা হাতে  মানুষ করেছেন নিজের একমাত্র সন্তান রৌনক বসু ওরফে প্রনীলকে।

দেখতে দেখতে এখন বেশ অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রীর ছেলে। এখন সে ১৫ বছরের কিশোর।  আর সেইসাথে ইদানিং এক বিরাট চিন্তার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী। আর অভিনেত্রীর চিন্তার কারণ কেউ নয় খোদ অভিনেত্রীর ছেলে। আসলে ইদানিং অভিনেত্রী লক্ষ্য করছেন তাঁর ছেলের বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে।

আসলে বয়সন্ধির এই সময়টাই এমন। কারণ এই সময়টায় ছেলেমেয়েরা তাদের কৈশোর জীবনের খোলস ছেড়ে যৌবনের দিকে পা বাড়াতে শুরু করে। আর তাই এই সময়টায় তাদের মানসিক এবং শারীরিক উভয় ক্ষেত্রেই যে পরিবর্তন আসতে শুরু করে সেটা খুবই স্বাভাবিক। তাছাড়া ধীরে ধীরে বাবা-মা ছাড়াও প্রত্যেকের নিজস্ব একটা জগৎ তৈরী হয়।

ব্যতিক্রম নয় খোদ রচনা ব্যানার্জির ছেলে রৌনকও। মাঝে মধ্যেই ছেলের সেসব অজানা কথাই অভিযোগের সুরে দিদি নাম্বার ওয়ানের শেয়ার করতে ভোলেন না রচনা। সদ্য দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন জি বাংলার জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালের স্বয়ম্ভূ অভিনেতা সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়।  এদিন দিদির মঞ্চে পর্দার স্বয়ম্ভূর সাথে হাজির ছিলেন তাঁর মা মিঠু মুখোপাধ্যায়।

এদিন রচনা তাঁর কাছে জানতে চান পর্দার স্বয়ম্ভূ বাস্তবে কেমন? উত্তরে অভিনেতার মা স্পষ্ট জানান, ছোটবেলায় তাঁর ছেলে ভয়ানক দুরন্ত ছিল। কথা শুনত না একেবারেই। পর্দার স্বয়ম্ভূকে সামলাতে গিয়ে নাকি একেবারে নাজেহাল অবস্থা হতো তাঁর মায়ের। তবে এদিন অভিনেতার মা জানান ‘বড় হয়ে নিজে থেকেই শান্ত হয়ে গিয়েছে।’

এ কথা কানে আসা মাত্রই কৌতূহল চেপে রাখতে না পরে মিঠু দেবীর মুখের কথা লুফে নিয়েই ‘মা’ রচনা বন্দোপাধ্যায়ের প্রশ্ন। এটা কোন বয়স থেকে হয়েছে? উত্তরে সৌম্য়দীপের মা জানান, ১৫-১৬ বছর বয়সে শান্ত হয়ে গিয়েছে ছেলে। এরপরেই দেখা যায় রচনা আফসোসের শুরে বলছেন ‘আমার ছেলে ১৫। কোনও লক্ষ্মণ দেখতে পাচ্ছি না!’ আর তখনি সৌম্য়দীপের মা আশ্বস্ত করে জানায়, ‘হবে, আস্তে আস্তে হবে।’ এরপরই দেখা যায় করজোড়ে  ভগবানকে স্মরণ করে রচনা বলেন তাঁর ছেলে যেন একটু শান্ত হয়।

আর্কাইভ