প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৩, ০৫:২৮ পিএম
সবে মাত্র সপ্তাহ দুয়েক হল শুরু হয়েছে ডান্স বাংলা ডান্স। জি বাংলার এই ডান্স রিয়েলিটি শোয়ের সাফল্য দেখেই জাতীয় টেলিভিশনে শুরু হয় একের পর এক নাচের রিয়েলিটি শো। এই মঞ্চেই প্রথম মহাগুরুর আসনে দেখা যায় মিঠুন চক্রবর্তীকে। প্রথম সিজনের আকাশছোঁয়া সাফল্যের পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি ডান্স বাংলা ডান্সকে।
মাঝে জি বাংলার হাত ছেড়ে দিলেও এখন আবার মহাগুরু হয়ে শোতে ফিরে এসেছেন মিঠুন। বিচারকদের আসনে এবার শুধুই মেয়েদের দাপট। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং মৌনি রায় তিন নায়িকা রয়েছেন বিচারকের দায়িত্বে। গত বছর শোয়ের সঞ্চালক হিসাবে দেখা গিয়েছিল অঙ্কুশ হাজরা এবং বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে। দুজনের খুনসুটি আর অঙ্কুশের মজার কাণ্ডকারখানায় জমে উঠেছিল শো।
কিন্তু এবারে বাদ পড়েছেন বিক্রম। অঙ্কুশ একাই সামলাচ্ছেন মঞ্চ। কিন্তু এবার তাঁর চাকরি নিয়েও টানাটানি শুরু হল। শো শুরু হতে না হতেই বদল হতে চলেছে সঞ্চালক। অঙ্কুশকে সরিয়ে তাঁর জায়গা নিচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেতা, যিনি আগেও ডান্স বাংলা ডান্সের দায়িত্ব সামলে এসেছেন।
কিন্তু হঠাৎ এত তাড়াতাড়ি সঞ্চালক বদলের কারণ কী? অঙ্কুশ তো দিব্যি সামলাচ্ছিলেন দায়িত্ব। তিনি বরাবরই মজার মানুষ। হাস্যকর সব কাণ্ডকারখানা করে শো জমিয়ে রাখতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। বিক্রমকে ছাড়াও তিনি একাই একশো। সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানের কাছে কয়েক নম্বরের জন্য টিআরপিতে পিছিয়ে পড়ে ডান্স বাংলা ডান্স। বদলের কারণ কি সেটাই?
খোলসা করেই বলা যাক। ডিবিডির সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যায়, কেকে ওরফে খাটিয়া কুমার নিজের ‘চান্স বাংলা চান্স’ শো থেকে সঞ্চালককে পাঠিয়েছে অঙ্কুশের জায়গা নেওয়ার জন্য। মুখে ছৌ নাচের মুখোশ পরে আসা নতুন সঞ্চালকের পরিচয় জানতে সবাই উদগ্রীব। কিন্তু সে তো কথাই বলে না। শেষমেষ মুখোশটা খুলতেই বিরাট সারপ্রাইজ!
নতুন সঞ্চালক আর কেউ নন, খোদ অরিত্র দত্ত বণিক। ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়রের সঞ্চালনার দায়িত্বে দেখা গিয়েছিল অরিত্র এবং তাথৈকে। তখন অবশ্য দুজনেই খুব ছোট। পরবর্তীকালে মিঠুনের সঙ্গে ‘হাঁদা অ্যান্ড ভোঁদা’ ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন অরিত্র।
সেই ছোট্ট অরিত্রকে এতদিন বাদে দেখে হতবাক হয়ে যান মিঠুন। দর্শকরাও প্রিয় সঞ্চালকে ফিরে পেয়ে নস্টালজিক। তবে অরিত্র জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি শুধু এ সপ্তাহের শনি এবং রবিবারই থাকছেন ডান্স বাংলা ডান্সে। বাকি সিজন জুড়ে মঞ্চ শুধুই অঙ্কুশের।