• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

অভিনেত্রী শুভশ্রী আমাকে এসব কোনোদিন করতে হয়নি

প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৩, ০৩:৫২ এএম

অভিনেত্রী শুভশ্রী আমাকে এসব কোনোদিন করতে হয়নি

ছবি: সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক

রুপালী পর্দা থেকে ঘরকন্যা, সবকিছু সামলাতে এখন বেশ পটু টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি। একদিকে যেমন একের পর এক সিনেমায় তার নজরকাড়া অভিনয়, অন্যদিকে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর ঘরণী তিনি। সঙ্গে আবার তার একমাত্র ছেলে ছোট্ট ইউভানকে সামলানো, সবটাই একাহাতেই সামলে নেন টলিপাড়ার এই অভিনেত্রী। কিন্তু বাস্তব জীবন ও পর্দার জীবন অভিনেত্রীর কাছে কতটা আলাদা? এবার এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন ছবি নির্মাতা রাজ পত্নী। জানিয়ে দিলেন যে বাস্তব জীবনে কি কি করে থাকেন তিনি।

কিছুদিন পরই মুক্তি পাবে ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ ছবিটি। আর এই ছবির এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে। তবে কমবয়সী নায়িকা নন, এবার তাকে দেখা যাবে থুরথুরে এক বৃদ্ধার চরিত্র রূপায়ণে। এই বয়সে বৃদ্ধার চরিত্রে অভিনয় তেমন সহজ বিষয় নয়। তবে সেটা সামলে নিয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু চরিত্রের খাতিরে রান্নাঘরে যেতে হয়েছে তাকে, যেখানের সমস্ত উপকরণ নাকি তার অজানা। আর এই বিষয়েও কিন্তু যথেষ্ট নিজেকে ঢেলে দিয়েছেন অভিনেত্রী। 

বাস্তবে কোনোদিন রান্নাঘরে না গেলেও ক্যামেরার সামনে শিল ও নোড়া দিয়েই তাকে মশলা বাঁটতে হয়েছে, এমনটা জানিয়েছেন শুভশ্রী গাঙ্গাুলী নিজেই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে অকপটে কিছু কথা বলেন তিনি, যার মধ্যে বাস্তবিক জীবনের কিছু কথাও লুকিয়ে ছিল। কারণ তিনি জানান যে বাড়িতে তিনি রান্না তেমন করেন না, কিন্তু এই ছবির চরিত্রে সকলেই নাকি তার রান্না খেয়েই পাগল। তাই এই দুই ভিন্নধর্মী কাজের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রাজপত্নী জানান, “আমি বাড়িতে কখনও রান্না করি না। কিন্তু, একজন অভিনেত্রী হওয়ার সুবাদে আমাকে প্রতিদিনই অনেক কিছু শিখতে হয়। যে জায়গায় শ্যুটিং হয়েছে সেটা মর্ডান রান্নাঘর নয়। রেডিমেড মশলা নেই। বাটনায় বেটে মশলা বানাতে হয়েছে। নারকেল কুড়াতে হয়েছে। আমাকে বাড়িতে যারা সাহায্য করেন তাঁদের সকলের থেকেই সব বিষয়টি শিখেছি।”

প্রসঙ্গত, আগামী ৮ ই মার্চ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’। নানা ইতিহাস ও ড্রামা দিয়েই তৈরি এই ছবির গল্প। এই ছবিতে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে স্নেহা চট্টোপাধ্যায়কেও।

আর্কাইভ