প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩, ০৩:১২ এএম
নতুন ঝামেলায় ভুবন বাদ্যকর। নিজের গান নিজেই গাইতে পারছেন না তিনি। ‘বাদাম’ শব্দটা পর্যন্ত নাকি উচ্চারণ করতে পারছেন না। ‘কাঁচা বাদাম’ গাইলেই কপিরাইটের ফাঁস গলায় চেপে বসছে। স্রষ্টাকে নিজের সৃষ্টি থেকেই দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এমনি অভিযোগ তুলেছিলেন দুবরাজপুরের ‘বাদাম কাকু’। এবার পাল্টা অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধেই।
অনেকদিন হয়ে গেল আগের মতো খোঁজ খবর মেলে না ভুবন বাদ্যকরের। এক রকম হারিয়ে গিয়েছেন ভাইরাল বাদাম কাকু। এই দুরবস্থা কেন? সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে মনের ক্ষোভ উগরে দেন ভুবন বাদ্যকর। অভিযোগ করেন, তাঁকে সরল সাদাসিধা পেয়ে ঠকানো হয়েছে। বীরভূমেরই এক ব্যক্তির দিকে আঙুল তুলেছিলেন তিনি।
কাঁদো কাঁদো গলায় ভুবন জানিয়েছিলেন, নিজের গান নিজেই গাইতে পারছেন না। তিনি যেখানেই গান গাইতে যাচ্ছেন,
‘বাদাম’ উচ্চারণ করলেই কপিরাইট ইস্যু হচ্ছে। নিজে টাকা পাচ্ছেন না, অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাঁর নামও বদনাম হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ভুবন।
কিন্তু এসব হল কী করে? এক সংবাদ মাধ্যমকে বাদাম কাকু জানিয়েছিলেন, বীরভূমের ‘গোধূলিবালা মিউজিক’ এর কর্ণধার গোপাল ঘোষ তাঁকে দিয়ে একটি সই করিয়ে নিয়েছিলেন। তাদের ইউটিউব চ্যানেলের হয়ে একটি গান গাইতে বলা হয়েছিল তাঁকে। বিনিময়ে তিন লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল ভুবনকে।
ভুবন জানান, তিনি তেমন ভাল পড়াশোনা বা ইংরেজি জানেন না। সেই সুযোগটা নিয়েই তারা তাঁর থেকে গানের কপিরাইট নিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ভুবন। এবার বাদাম কাকুর তোলা অভিযোগের জবাব দিলেন গোপাল ঘোষ।
তিনি স্পষ্ট বলেন, ভুবনের তোলা যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যে। তিনি নিজের জায়গায় ঠিক রয়েছেন। ভুবন বাদ্যকর এখন যা বলছেন বলুন, তিনি এখন কোনো মন্তব্যই করবেন না। তবে খুব শীঘ্রই তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে সবটা জানাবেন বলে মন্তব্য করেছেন গোপাল ঘোষ।