• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

রোম্যান্টিক গান সব শ্যালিকা লতার জন্য, আশার কপালে কঠিন গান! আর ডি বর্মণের উপরে ক্ষেপেছিলেন গায়িকা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩, ০৪:১২ পিএম

রোম্যান্টিক গান সব শ্যালিকা লতার জন্য, আশার কপালে কঠিন গান! আর ডি বর্মণের উপরে ক্ষেপেছিলেন গায়িকা

বিনোদন ডেস্ক

গায়ক রাহুল দেব বর্মণ এবং গায়িকা আশা ভোঁসলে ভারতীয় সঙ্গীত জগতের মিউজিক্যাল জুটি। গানে গানেই মিলে গিয়েছিল দুজনের মনের সুর। আশার সঙ্গে কাজ করতে করতেই তাঁর প্রেমে পড়েন আর ডি বর্মণ। অনেক রকম ভাবে গায়িকার মন পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। শেষমেষ তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

গানে যেমন সুরের হাই এবং লো পিচ আছে, আর ডি বর্মণ এবং আশা ভোঁসলের বৈবাহিক জীবনও ছিল গানের মতোই ছোটখাট ঝগড়াঝাঁটি। প্রবীণ গায়িকা একবার জানিয়েছিলেন, মূলত গান নিয়েই ঝগড়া বাঁধত তাঁদের মধ্যে। আশার একটা গুরুতর অভিযোগও ছিল স্বামীর বিরুদ্ধে।

আর ডি বর্মণের সুরে বিয়ের আগে এবং পরে অগনিত গান গেয়েছেন আশা ভোঁসলে। তার মধ্যে এমন অনেক গানই রয়েছে যা খুবই কঠিন। এমনি একটি গান ‘তিসরি মঞ্জিল’ ছবির ‘আজা আজা ম্যায় হু পেয়ার তেরা’। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই গানটি আজও বহু মানুষের প্রিয়। অদ্ভূত সুন্দর ভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে গানটি গেয়েছিলেন আশা।

কিন্তু গানটি শুনে যেমন পা আপনা থেকেই নাচতে শুরু করে, গানটি গাওয়া কিন্তু অতটাও সোজা নয়। সঙ্গীতশিল্পীরা কঠিন গানের তালিকাতেই ফেলেন এই গানটিকে। শোনা যায়, টানা দশ দিন ধরে প্র্যাকটিস করার পর গানটি গেয়েছিলেন আশা ভোঁসলে। শুনে আর ডি বর্মণের এতটাই পছন্দ হয়েছিল যে তিনি ১০০ টাকা পুরস্কার দিয়েছিলেন গায়িকাকে।

কিন্তু আর ডি বর্মণের কাছে একটা অভিযোগও ছিল আশার। শোনা যায়, তিনি নাকি সঙ্গীত পরিচালককে প্রশ্ন করেছিলেন, সব ভাল ভাল সোজা গানগুলো তিনি দিদি লতা মঙ্গেশকরকে দিয়ে দেন। আর তাঁর কপালে জোটে সব কঠিন গানগুলো, যেগুলো অন্য কেউ গাইতে পারে না।

উত্তরে আর ডি বর্মণ বলেছিলেন, আশা ভোঁসলে সব ধরণের গান গাইতে পারেন। তাই তিনি এমন গান বানান। কিন্তু আশা যদি গানগুলো গাইতে না চান, তাহলে তিনি আর এমন কঠিন গান বানাবেনই না। তবে পরবর্তীকালেও আরো অনেক আইকনিক গান উপহার দিয়েছেন এই জুটি।

আর্কাইভ