• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিল বাবা, খেতেও দেয়নি! মিঠুনের কথায় চোখে জল দর্শকদের

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩, ১২:১৬ এএম

বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিল বাবা, খেতেও দেয়নি! মিঠুনের কথায় চোখে জল দর্শকদের

ছবি: সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক

জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়ে গিয়েছে ডান্স বাংলা ডান্সের নতুন মরশুম।  আর চলতি সিজনে দীর্ঘ ১০ বছর পর করে মহাগুরুর আসনে দুর্দান্ত কামব্যাক করেছেন ডিসকো কিং মিঠুন চক্রবর্তী। আর তাঁর আসাতে যেন গোটা অনুষ্ঠানটাই পেয়েছে এক আলাদা মাত্রা। যার ফলে প্রায় প্রত্যেক পর্বে ঘুরে ফিরে আসছে পুরনো সব নস্টালজিয়া।

গতকাল ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন বাংলার ডান্সিং কুইন দেবশ্রী রায়। এদিন মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে জনপ্রিয় সিনেমা ‘ত্রয়ী’র ‘জানা-অজানা পথে চলেছি’ গানে মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে পা মিলিয়ে নাচতে মঞ্চে প্রবেশ করেছিলেন দেবশ্রী। প্রসঙ্গত গত সিজনের মতো চলতি সিজনেও ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চে প্রতিযোগীদের বয়সের কোন সীমান ঊর্ধ্বসীমা নেই।

তাই বাংলার নানা প্রান্ত থেকে আসছে বিভিন্ন বয়সের প্রতিভাবান শিল্পীরা। এদিনও এমনই এক  খুদে প্রতিযোগী এসেছিলেন নিজের প্রয়াত বাবাকে ডেডিকেট করে একটি দুর্দান্ত নাচের পারফমেন্স দেখতে। যেখানে সে দেব মিঠুন অভিনীত প্রজাপতি সিনেমার ‘তুমি আমার হিরো’ গানে নাচ করে। নাচ শেষ হতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। ততক্ষণে ব্যাক স্টেজ থেকে তাকে সামলাতে ছুটে আও এসে গিয়েছে জল সে অঙ্কুশ। যদিও এদিন অঙ্কুশের চোখের কোণেও চিক চিক করছিল জল।

অন্যদিকে খুদে শিল্পীর নাচ দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন  খোদ মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। পুরনো স্মৃতিতে ডুব দিয়ে নিজের বাবার কথা মনে করে মিঠুন জানান একসময় তাঁর  বাবা নাকি তাকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিল। খেতে দেয়নি।

আসলে কলকাতার ছাপোষা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মিঠুন। তাই  প্রথমদিকে তাঁর বাড়ির কেউ চাননি বাড়ি ছেড়ে মুম্বই গিয়ে তিনি নায়ক হওয়ার স্বপ্নপূরণ করুন। তবে আজ সেই মিঠুন চক্রবর্তিকেই গোটা দুনিয়া চেনে এক ডাকে।

তাই এদিন নিজের বাবাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিঠুন বলেন সেদিন বাড়ি থেকে বের না করে দিলে তিনি আজ হয়তো এই জায়গায় পৌছাঁতে পারতেন না। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন দেবশ্রী রায়ের মা।  তাই এদিনের এই পারফরম্যান্স দেখে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তিনিও।

আর্কাইভ