বিনোদন ডেস্ক
অলোচনা আর সমালোচনার ঝড় থেকে যেন বেরোতেই পারছেন না সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। সম্প্রতি কিছু ভিডিও ক্লিপ প্রকাশের পর ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগের তীর চলে গেছে খোদ তার দিকেই।
বোট ক্লাবের ঘটনার আরেকটি ভিডিও চিত্র পুলিশের হাতে এসেছে। ভিডিওতে পরীমনিকে বোট ক্লাবের ভেতরে কিছু একটা পান করতে দেখা গেছে। তিনি আসল ঘটনা আড়াল করে ধর্ষণচেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে পাওয়া গেছে তথ্য। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও বিষয়টি পুনরায় খতিয়ে দেখছেন।
এ বিষয়ে পরীমনি বলেন, ‘কয়েক সেকেন্ডের বিভ্রান্তিকর অস্পষ্ট ক্লিপ নয়, আমি পুরো ভিডিওটি চাই। শুরু থেকেই বলে আসছি, ক্লাবের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করার জন্য। যদি কয়েক সেকেন্ড পাওয়া যায়, তাহলে নিশ্চয়ই পুরো ফুটেজই আছে। আমি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করে আবারও বলছি, দয়া করে পুরো ফুটেজ প্রকাশ করুন। সবাই সত্যটা জানুক, কী ঘটেছে সেই রাতে।’
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টার কোনো প্রমাণ পাননি তারা। মামলাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
এ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিল্পী-নির্মাতাদের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। এমনকি দোষী সাব্যস্ত হলে চলচ্চিত্রের বেশ কয়েকটি সংগঠনের কাঠগড়ায় উঠতে হবে এই নায়িকাকে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘অনেক কিছুই শুনছি। তবে এটা মনে রাখতে হবে, পরীমনির মামলা তদন্তাধীন। আমরা এর ফলের দিকে চেয়ে আছি। যদি পরী দোষী হন, তাহলে সাংগঠনিকভাবে একটা ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সেটা শিল্পী সমিতিকে সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে।’
গত ১৩ জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন পরীমনি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি ওই অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এর পরদিনই রূপনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন পরীমনি। ওইদিনই মামলাটি সাভার থানায় হস্তান্তর করা হয়। মামলায় নাসির উদ্দিন ও অমি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করা হয়।
মামলার একদিন পরে অর্থাৎ ১৪ জুন উত্তরার একটি বাসা থেকে অভিযুক্ত নাসির ইউ মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে মাদকসহ গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সেই মামলায় আজ (বুধবার) তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামুন/ডব্লিউএস/এম. জামান
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন