প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩, ০৮:২১ পিএম
গত মাসেই পদ্ম সম্মানে ভূষিত হন দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাণী জয়রাম। সর্বোচ্চ জাতীয় সম্মান পেয়ে উচ্ছসিতও হয়েছিলেন। তবে কে বা জানতো যে এই পুরষ্কার নিজের হাত দিয়ে নিতে পারবেন না।
৭৮ বছর বয়সে শনিবার চেন্নাইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বর্ষীয়ান এই গায়িকার দেহ। তবে তাঁর মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যদিনের মতোই শনিবার সকালে পরিচারিকা চেন্নাইয়ের ফ্ল্যাটে আসেন। তবে একাধিকবার কলিংবেল বাজালেও সংগীতশিল্পী দরজা খোলেননি এদিন। এর পরে শিল্পীর এক আত্মীয়কে ফোন করে বিষয়টি জানান পরিচারিকা। পরবর্তীতে আত্মীয় পুলিশে খবর দেন এবং নিজেও উপস্থিত হন ফ্ল্যাটে।
পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বাণীর দেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্ত শুরু করে। পুলিশ এটিকে অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করেছে। ১৯৪৫ সালের ৩০ নভেম্বর জন্ম বাণী জয়রামের। জন্মসূত্রে নাম ছিল কলাইবাণী। ছোট থেকেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেন। ১৯৬০ এর দশকের শেষে বিয়ের পর স্বামী জয়রামের হাত ধরে মুম্বইতে হাজির হন বাণী। ১৯৭১ সালে হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালিত ‘গুড্ডি’ ছবিতে গান গেয়ে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছান। তাঁর কণ্ঠে গাওয়া বিখ্যাত ‘হম কো মন কি শক্তি দেনা দাতা’, ‘বোল রে পাপিহারা’র মতো গান।
এম এস বিশ্বনাথন, কে ভি মহাদেবন, চক্রবর্তী, ইলাইয়ারাজা, সত্যম প্রমুখ প্রথম সারির সঙ্গীত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন বাণী। ৫২ বছরের এই সংগীতজীবনে বাণী জয়রাম তামিল, হিন্দি, তেলুগু, মালয়লম, অসমীয়া, বাংলা ভাষায় ১০ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন।
এনএমএম/