প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০৩:৪৯ এএম
বাংলাদেশে আগামী ২৭ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল শাহরুখ খান অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘পাঠান।’ আজ ভারত ও ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশে একযোগে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। বাংলাদেশে ‘পাঠান’ মুক্তি নিয়ে, দেশে হিন্দি ছবির আমদানি নিয়ে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে চলচ্চিত্রপাড়ায়।
সাফটা চুক্তির আওতায় পাঠান মুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই উদ্যোগে আগামী ২৭ জানুয়ারি ছবিটি মুক্তি পেতে পারত। তবে ২৭ জানুয়ারি মুক্তি না পেলেও কিছুদিন পরে ছবিটি মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভাব্য তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি বলে আমদানিকারক সংস্থা সূত্রে জানা গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, সাফটা চুক্তির আওতায় কলকাতার ছবি আমদানি হলেও কেন বলিউডের ছবি আমদানিতে বাধা?
এদিকে, হল মালিকরা বলছেন, দেশের ছবি চাহিদা পূরণ করতে না পারায় তারা বলিউড ছবি চান। প্রদর্শক সমিতির সঙ্গে একমত পোষণ করেন পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াতও!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিও চাইছে, বলিউডের ছবি বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া উচিত। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার বলেন, বলিউডের ছবি আসুক। বুধবার দুপুরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে হলিউডের ছবি চলছে। হলিউডের সঙ্গে একযোগে এদেশে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ইংরেজি ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাংলা ছবিগুলো চলছে। তাহলে হিন্দি ছবি কেন মুক্তি পাবে না?
নিপুণ বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের এখানে এমন কিছু সিনেমা হচ্ছে যেগুলো সিনেমা, টেলিফিল্ম, নাটক কিছুই না; বলিউডের সিনেমা মুক্তি পেলে এসব মানহীন সিনেমাগুলো নির্মাণ বন্ধ হয়ে যাবে।’
বলিউডের ছবি মুক্তি পেলে কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে নিপুণ আরও বলেন, আমাদের যেসব ফেস্টিভ্যাল আছে (ঈদ-পূজা, বিশেষ দিবস) এই সময়গুলো যেন বলিউডের ছবি রিলিজ না দেয়; ফেস্টিভ্যালে যেন শুধু দেশি সিনেমা থাকে এটাই চাওয়া। এটা শুধু আমার একার সিদ্ধান্ত নয়, সিদ্ধান্তটা শিল্পী সমিতির।
বলিউডের ছবি বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে ইতোমধ্যে শিল্পী সমিতির সদস্যরা একত্রিত হয়ে একটি মিটিং করেছেন। নিপুণ বলেন, সংশ্লিষ্টদের কাছে একটি লিখিত প্রস্তাবও দিয়েছিলাম, বলিউডের যে ছবিটা মুক্তির পর এদেশে লাভ হবে সেখানকার ১০ পার্সেন্ট শিল্পী সমিতিতে দেবে। সমিতিতে দিলে আমাদের ফান্ড বাড়বে এবং সেই অর্থ শিল্পীদের জন্যই ব্যয় করা হবে। এখনও এই প্রস্তাবের ফিডব্যাক আসিনি।
সিনেমা হলমালিকরাও দ্বিধায় আছেন উল্লেখ করে নিপুণ বলেন, বলিউডের ছবি এলে হলগুলো বাঁচবে। হল মালিকরা দ্বিধায় আছে। লোন নিয়ে বন্ধ হল খুললে বা সংস্কার করলে দুই বছর পর থেকে লোনের টাকা ছবি চালাতে না পারলে কীভাবে খুলবে? আমি মনে করি আগে হল বাঁচাতে হবে তারপর শিল্প বাঁচবে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার প্রাপ্ত এই অভিনেত্রী মনে করেন, এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন, আমাদের অনেক অনেক মেধাবী নির্মাতা এবং টেকনিশিয়ান আছে যে ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। বাইরের ছবি এলে প্রতিযোগিতা বাড়বে। তাই বলিউডের ছবি এলে সবাই লাভবান হবেন।