প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩, ১০:৩৪ পিএম
২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সুকেশ চন্দ্রশেখর বর্তমানে দিল্লির ম্যান্ডলি জেলে রয়েছেন। এবার তাঁর আরো একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে , সেখানে তিনি নোরা ফাতেহির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত তাঁর এই চিঠিতে জানিয়েছেন, তিনি এবং জ্যাকলিন দুজনই একটি সম্পর্কে ছিলেন। আর সেই সম্পর্ক নিয়ে নোরা ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েন। শুধু তা-ই নয়, তিনি যে বরাবরই জ্যাকলিনের প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিলেন সে কথাও জানান। তিনি বলেন, অভিনেত্রী নাকি সব সময় তাঁকে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলতেন এবং তাঁর ব্রেইন ওয়াশের চেষ্টা করতেন।
সুকেশ দাবি করেন, অর্থনৈতিক অপরাধ ব্যুরোর সামনে তিনি তাঁর বক্তব্য পরিবর্তন করেছেন। তিনি জানান, নোরা চেয়েছিলেন যাতে তিনি জ্যাকলিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বেরিয়ে আসেন। যেহেতু তিনি তেমন কিছু করেননি, সেহেতু তিনি বারবার তাঁকে হয়রানি করেন। জড়াতে চেয়েছিলেন নোরা।
২০ জানুয়ারির এই চিঠিতে চন্দ্রশেখর লেখেন, নোরা এর আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডিকে যে তথ্য দিয়েছিলেন সেটার সঙ্গে অর্থনৈতিক অপরাধ ব্যুরোকে দেওয়া বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাঁর কথা অনুযায়ী, ‘গোটা বক্তব্য পাল্টে ফেলা হয়েছে এবং এখন নতুন গল্প ফাঁদা হচ্ছে। অর্থনৈতিক অপরাধ ব্যুরোকে ও যে বক্তব্য দিয়েছে সেটার সঙ্গে ইডির চার্জশিট মেলালেই তফাত ধরা পড়বে।’
একই সঙ্গে তিনি বলেন, নোরা ভীষণ ম্যানুপুলেটিং।
সুকেশ জানান, নোরা তাঁকে দিনে ১০ বার ফোন করতেন। তিনি যতক্ষণ না উত্তর দিতেন ততক্ষণ ফোন করতেই থাকতেন। একই সঙ্গে অভিনেত্রী যে দাবি করেছিলেন যে তিনি তাঁকে বিলাসবহুল গাড়ি দিতে চেয়েছিলেন, যা তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন সেটা পুরো মিথ্যে।
নোরা এর আগে জানিয়েছিলেন, সুকেশের স্ত্রী নাকি তাঁকে একটি আইফোন, গুচ্চি ব্যাগ এবং বিএমডাব্লিউ গাড়ি উপহার দিতে চেয়েছিলেন। সুকেশ জানান, তিনি অভিনেত্রীকে রেঞ্জ রোভার দিতে চেয়েছিলেন; কিন্তু তাঁর তখন বিএমডাব্লিউ ৫ সিরিজের গাড়ির জরুরি প্রয়োজন ছিল, তাই তখন তিনি সেটাই তাঁকে দেন।
একই সঙ্গে তিনি জানান, অভিনেত্রী নাকি তাঁকে এই গাড়িটি তাঁর বোনের বর, মেহবুব ওরফে ববি খানের নামে রেজিস্টার করে দিতে বলেন। উল্টো দিকে অভিনেত্রী জানান, উল্লিখিত এই জিনিস ছাড়া তিনি আর কিছু নেননি। যদিও গাড়িটি তাঁর বোনের বরকে দেওয়া হয়েছিল বলেই জানান তিনি।