প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৩, ০৫:৪৬ পিএম
প্রথমবারের মতো সিনেমা বানিয়েছেন নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েল। নাম ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’। গল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন মুহাম্মদ জাফর ইকবালের শিশুতোষ উপন্যাস ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’কে। ছবির কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ ও পরীমণি। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দেশের ১৭টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।
এই ছবিতে কাজ করতে গিয়ে নির্মাতা জুয়েল ও নায়িকা পরী দুজনেরই হয়েছে রোমাঞ্চকর এবং মধুর অভিজ্ঞতা। তাই দুজনের মুখ থেকেই পরস্পরের জন্য ঝরলো প্রশংসা বাক্য।
পরীকে নিয়ে নির্মাতা জুয়েলের মন্তব্য, ‘শাবনূর, পূর্ণিমা, পপি, মৌসুমীদের পর একজন নায়িকা হিসেবে যা কিছু দরকার, সব ওনার (পরীমণি) আছে। অভিনয় দক্ষতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এছাড়া অভিনয়, পোশাক, লুক সবকিছু তিনি নিজেই মেন্টেইন করেছেন। কারও সাহায্য লাগেনি। পরীমণির স্মরণশক্তি বা মেধা অনেক বেশি। নায়িকা হওয়ার জন্য যা যা দরকার, সব গুণই আছে।’
অন্যদিকে নির্মাতাকে নিয়ে পরীমণির পর্যবেক্ষণ এমন, ‘বিশ্বাস করুন, আমার মনেই হয়নি এটা তার প্রথম সিনেমা। আমাদের সবার সঙ্গে তার এত সুন্দর একটা কানেকশন হয়ে গিয়েছিল, তিনি কী বলতে চান, সেটা সবাই সহজে বুঝতে পারতো।’
শুধু কি ভালো দিকই আছে পরীর? নির্মাতা হিসেবে নায়িকার কোনও নেতিবাচক দিক চোখে পড়েনি? জুয়েলের জবাব, ‘কেউ যদি ফিসফিস করেও কিছু বলে, সেটাও পরী কানে নিয়ে নেয়। এটা হলো সমস্যা। সেটের মধ্যে কে কী বলছে, কাকে বলছে, সেগুলোও তার কানে চলে আসে। সব শুনতে পারে। এটা বাজে।’
নির্মাতার কথা শেষ না হতেই জবাব দিলেন পরীমণি। বললেন, ‘শিল্পী যখন ক্যামেরার সামনে থাকে, তাকে মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হয়। তার মনোযোগে যদি কেউ বিঘ্ন ঘটায়, আমি তো সেটা নিয়ে কথা বলবোই। কারণ, ফিসফিস কথা বলার জন্য অনেক সময় আছে। একজন মানুষ যখন ক্যামেরার সামনে থাকে, চরিত্রের ভেতরে ঢুকে থাকে, তখন তাকে ডিস্টার্ব করা যাবে না। সেজন্য আমি বলি, পুরো ইউনিটকে শান্ত থাকতে হবে, ওই সিকোয়েন্সের মধ্যে থাকতে হবে।’
শেষমেশ নায়িকার কথার সঙ্গেই সুর মেলালেন নির্মাতা জুয়েল। জানালেন, এখনও দেশের শুটিং সেটগুলোতে শিল্পীদের মনের মতো পরিবেশ দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। যেটা নিখুঁত কাজের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’র শুটিং করতে গিয়ে করোনা মহামারিজনিত লকডাউনে পড়েছিলেন সিয়াম-পরীরা। হুট করে যেমন শুটিং ফেলে চলে আসতে পারছিলেন না, আবার এত মানুষ একসঙ্গে থেকে শুটিং চালিয়ে যাওয়াও ছিল অসম্ভব।
সেই স্মৃতি মনে করে পরী বলেন, ‘আমার মনে হয় পৃথিবীর মধ্যে আমরাই শুধু লকডাউনের সময় শুটিং করেছিলাম। কারণ, আমরা মাঝ নদীতে ছিলাম। হুট করে শুটিং ফেলে ঢাকায়ও আসতে পারছিলাম না। ঢাকা বা লোকালয় থেকে অনেক দূরে ছিলাম। এটা একটা বড় রকমের অ্যাডভেঞ্চার ছিল আমাদের জন্য।’