প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০২:৩১ এএম
বাংলাদেশে গিয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র। নিজের ছবি ‘এবং ছাদ’-এর প্রচারে ওই দেশে গিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত শ্রীলেখা। সেখানকার সংস্কৃতি থেকে শুরু করে আচার ব্যবহার সবেরই ভক্ত তিনি।
এ তাঁর বাবার দেশ। ঢাকার জাতীয় জাদুঘরে সাংবাদিকদের সামনে শ্রীলেখা বলেন, “বাংলাদেশের বাংলা ভাষাটা খুব সুন্দর। কলকাতায় সবাই খিচুড়ি ভাষায় কথা বলে। এখানে মানুষ বাংলাকে ভালোবেসে বাংলাকে বাঁচিয়ে রেখেছে, বাংলায় কথা বলছে। গর্বের সঙ্গে বাঙালি হয়ে বাংলায় স্বপ্ন দেখছে—এটা বিরাট ব্যাপার। আর পৃথিবীর কোনো প্রান্তে গিয়েই বাংলাদেশের মতো আতিথেয়তা পাওয়া যাবে না।” তবে বাংলাদেশ নিয়ে এক অভিযোগের কথাও জানিয়েছেন অভিনেত্রী। বাংলাদেশের বিভিন্ন পোর্টাল থেকে অতীতে কুরুচিকর খবর প্রকাশিত হয়েছে বলে দাবি তাঁর। তিনি যোগ করেন, “এটা আমার খারাপ লাগার জায়গা। বাংলাদেশ নিয়ে অনেক ভালো বিষয় আছে। এটা ভালোবাসার অত্যাচার বলা যায়। এটা না করলেই হয়। আমি বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালো স্মৃতি জমাতে চাই। আমার বাবার দেশ মানে আমার দেশ। আমার এই দেশ সম্পর্কে কেউ খারাপ বলুক, সেটা আমি পছন্দ করব না।”
শ্রীলেখার এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিটি এ রাজ্যের চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়নি। কারণ হিসেবে অবশ্য শ্রীলেখা দায়ী করেছিলেন সরকারকেই। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে ব্রাত্য করা হয়েছে তাঁর ছবি, এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তবে ও দেশে সাদরে সমাদৃত হয়েছে অভিনেত্রীর ছবি। ইতিমধ্যেই কুড়িয়েছে প্রশংসাও।
প্রসঙ্গত, একবার এক সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখার বাবা জানিয়েছিলেন, তাঁর পূর্বপুরুষের বাড়ি ছিল মাদারীপুরের ঘটমাঝি গ্রামে। দেশভাগের সময় অভিনেত্রীর বাবা চলে আসেন এ দেশ। শ্রীলেখার জন্ম অবশ্যে ভারতেই। তবে বাবার মুখ থেকে শোনা বাংলাদেশের পুরনো গল্পে তিনিও খুঁজে পান আত্মিক টান। ২০১৭ সালে বাবা সন্তোষ মিত্রকে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেনও তিনি। বাবাকে দু’বছর আগে হারিয়েছেন শ্রীলেখা। তবে রয়ে গিয়েছে স্মৃতি। যে স্মৃতির খানিক অংশ জুড়ে রয়েছে ওই দেশের সঙ্গেও।