• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

কাঞ্চন মল্লিক বিধানসভার সদস্য হতে পারলে আমাকে নিয়ে আপত্তি কেন: হিরো আলম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ১০:৫৪ পিএম

কাঞ্চন মল্লিক বিধানসভার সদস্য হতে পারলে আমাকে নিয়ে আপত্তি কেন: হিরো আলম

বিনোদন ডেস্ক

অবশেষে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। গতকাল মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত রিটের শুনানিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার গণসংযোগের জন্য বগুড়ায় ফিরে গেছেন হিরো আলম। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পরে হিরো আলম জানান, তার টাকা ও প্রভাব নেই। তবে স্বপ্নজয়ের সাহস ও সততা আছে।

একই সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৌতুক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক বিধানসভার সদস্য হতে পারলে তার জাতীয় সংসদে যাওয়া নিয়ে কেন আপত্তি উঠছে? হাইকোর্ট থেকে রিটের আদেশের প্রতিলিপি নিয়ে বগুড়ার উদ্দেশে যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। হিরো আলম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের অনেক অভিনেতা বিধানসভার সদস্য হয়েছেন। রাজনীতি ও অভিনয় একসঙ্গে করছেন। কৌতুক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক বিধানসভার সদস্য হতে পারলে আমাকে নিয়ে মানুষের এত আপত্তি কেন?”

এ সময় সংসদে যাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হিরো আলম বলেন, “নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে মানুষের ভালোবাসা আর নিজের অদম্য সাহস দিয়ে জিরো থেকে আজ আমি হিরো আলম। শৈশবে টাকার অভাবে পড়ালেখা করতে পারিনি। অনাহারে থেকেছি। চানাচুর বিক্রি করেছি। কেউ কিন্তু একমুঠো ভাত দেয়নি, এক টাকা সাহায্যও করেনি। একসময় সিডির দোকান করেছি, কেব্ল–সংযোগের ব্যবসা করেছি। সেই সুবাদে মিউজিক ভিডিও তৈরি শুরু করি। ইউটিউবে আমার প্রায় এক হাজার মিউজিক ভিডিও আছে। মানুষ ভালোবেসে তা দেখেছে বলেই আমি হিরো আলম। মানুষের ঠাট্টা-তামাশা নিয়ে ভাবি না, আমি আমার মতো পথ চলি।”

এদিকে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “বাধা পেরিয়ে লড়াই-সংগ্রাম ছাড়া আমি জীবনে কোনো কিছুই পাইনি। শত অসাধ্যকে সাহস আর দৃঢ় আত্মবিশ্বাস দিয়ে জয় করেছি। কোনো কিছুতেই হারতে শিখিনি। নির্বাচনেও হারব না। জয়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। বারবার হয়তো হারব। কিন্তু একদিন বিজয়ী হয়ে সংসদে যাবই। লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই থামাব না। আমার টাকা ও প্রভাব নেই। তবে স্বপ্ন জয়ের সাহস ও সততা আছে।”

এর আগে, সংসদীয় আসন দুটিতে প্রার্থী হতে মনোনয়ন পত্রে ন্যূনতম ১% শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক সই না থাকার কারণ দেখিয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন হিরো আলম। পরে তার করা আপিল আবেদন খারিজ করে ইসি।

এরপর তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে রিট করেন। মঙ্গলবার হিরো আলমের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর ফলে হিরো আলম তার প্রার্থিতা ফিরে পেলেন। একইসঙ্গে হিরো আলমের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আর্কাইভ