প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ১১:০৫ পিএম
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে বিভেদের অবসান হয় গত সেপ্টেম্বরে। ৯ মাস আইনি লড়াই চলার পর চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে এই পদে মেনে নেন মিশা-জায়েদ প্যানেলের বিজয়ীরা। তারা শপথ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার কথাও বলেন। তাতে হাসি ফুটেছিল সাধারণ শিল্পীদের মুখেও। ভেবেছিলেন সব দ্বন্দ্বের বোধহয় অবসান হলো।
কিন্তু ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণদের সঙ্গে ডিপজল-রুবেল-মৌসুমীদের দ্বন্দ্ব কি এখনো মেটেনি? সবই কি ছিল লোক দেখানো? গেল শনিবার অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির পিকনিকের পর এমন প্রশ্নই উঠেছে জনমনে। কারণ, ওই পিকনিকে শুধু অঞ্জনা রহমান ছাড়া মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে বিজয়ী কোনো শিল্পীকেই দেখা যায়নি।
শিল্পী সমিতির গত ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে ডিপজল ও রুবেল সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী হন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে বিজয়ী হন অঞ্জনা, মৌসুমী, আলীরাজ, সূচরিতা, অরুণা বিশ্বাস ও রোজিনা। অঞ্জনা বাদে তারা কেউই শিল্পী সমিতির পিকনিকে যাননি।
এ বিষয়ে জানতে ডিপজল ও রুবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে কথা হয় সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক চিত্রনায়ক জয় চৌধুরীর সঙ্গে। শিল্পী সমিতির পিকনিকে আপনাদের প্যানেলের বিজয়ীরা কেন যাননি জানতে চাইলে তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘অন্যদের কথা বলতে পারব না, আমার জরুরি কাজ ছিল।’
দুটি প্যানেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল মূলত সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে। এই পদে টানা তৃতীয়বারের মতো শিল্পীদের ভোটে জয় পেয়েছিলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। হেরে যান নিপুণ আক্তার। তবে জায়েদের বিরুদ্ধে নিপুণ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুললে নির্বাচনী আপিল বোর্ড জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করে।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন জায়েদ খান। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে স্থগিত করা হয় নির্বাচনী আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত। তার বিপক্ষে নিপুণ আবার উচ্চ আদালতে আপিল করেন। সেই আপিলের রায়েই গত সেপ্টেম্বরে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিপুণকেই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাতিলই থাকে জায়েদের প্রার্থিতা।
উচ্চ আদালতের সেই রায় মেনে নেন ডিপজল-রুবেলরাও। শিল্পী সমিতিতে গিয়ে তারা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিপুণকে বরণ করেন। শপথও নেন। কিন্তু শিল্পী সমিতির পিকনিকে না যাওয়ায় চলচ্চিত্রপাড়ায় কানাঘোষা, নিপুণকে আসলে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি ডিপজল-রুবেলরা। সমিতির পিকনিকে প্যানেল ধরে অনুপস্থিত থাকা তারই প্রমাণ।