• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী ‘বাংলাদেশের মানুষ আমাকে ফেলুদা হিসেবে মেনে নিয়েছেন’

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ১০:১২ পিএম

অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী ‘বাংলাদেশের মানুষ আমাকে ফেলুদা হিসেবে মেনে নিয়েছেন’

বিনোদন ডেস্ক

প্রখ্যাত অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। ফেলুদা চরিত্রে অভিনয় করে সব শ্রেণির দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন প্রবীণ এই অভিনেতা। কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

ফেলুদা হিসেবে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তাকে কীভাবে দেখেন?

এদেশে ফেলুদা হিসেবে যে আমার এতো জনপ্রিয়তা আছে, তা ভাবতেও পারিনি। আমি যে এখানে ফেলুদা হিসেবে খুব জনপ্রিয় তা অনেক আগে এদেশে এসেই বুঝতে পেরেছিলাম। তখন কলকাতায় গিয়ে বলেছিলাম, কলকাতায় আমার যত ফ্যান আছে, তারচেয়ে বাংলাদেশে বেশি আছে। পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশসহ সারা ভারতে ফেলুদার যত দর্শক আছে তার তুলনায় বাংলাদেশে ফেলুদার ভক্ত বেশি বলে আমি মনে করি। এদেশের মানুষ আমাকে ফেলুদা হিসেবে মেনে নিয়েছেন।

এদেশের এত এত ভালোবাসা, কেমন লাগে?

খুব ভালো লাগে। তবে, মাঝে মাঝে খারাপও লাগে। কারণ বাড়াবাড়ি মনে হয়। খ্যাতির বিড়ম্বনা যাকে বলে।

আপনার পরে ফেলুদা চরিত্রে অনেকে অভিনয় করেছেন, তাদের অভিনয় দেখেছেন?

অনেকের অভিনয় দেখেছি। পরমব্রতর অভিনয় দেখেছি, আবিরের অভিনয় দেখেছি। সবারটাই দেখেছি। তবে, সবশেষে যেটা হয়েছে সেটা হয়নি। এবার ফিরে গিয়ে দেখব আশা করছি।

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে এসেছেন, আপনার অনুভূতি জানতে চাই...

খুবই ব্যস্ত সময় কাটছে। প্রেসের সঙ্গে বেশি কথা হচ্ছে। এখানকার আতিথেয়তার কোনো তুলনা হয় না। সবমিলিয়ে দারুণ অনুভূতি। এখানকার চলচ্চিত্র উৎসবে আমার নতুন সিনেমা ‍‍`জেকে ১৯৭১‍‍` দেখানো হয়েছে। আমিও দেখেছি। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে আমাকে বসানো হয়েছে। এটা আমার জন্য বিরাট সম্মানের। অতটা যোগ্যতা হয়তো আমার নেই। আমি কৃতজ্ঞ।

বাংলায় কথা বলা-অভিনয় কতটা আপ্লুত করে?

আমি বাঙালি, তাই বাংলায় কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। মাতৃভাষার চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে? বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা চিরকালীন।

হঠাৎ অভিনয়ে বিরতির কথা বলার কারণ?

আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট নেই। আর টানতে পারছি না। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। তখন থেকে সহজেই টায়ার্ড হয়ে যাচ্ছি। শরীরে ব্যথা হচ্ছে। হজম কম হচ্ছে। এমন নানারকম সমস্যা আছে। এ অবস্থায় যদি কোনো সিনেমায় অভিনয় করি শতভাগ দিতে পারব না। পরিচালকের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না। নাটকও ছেড়ে দেব। নাটকের নেপথ্যে কাজ করতে চাই। অভিনয় করব না।

আর্কাইভ