প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৫:৪৪ পিএম
৩১ ডিসেম্বর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসে পরীমনি বলেন, ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান। আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নেই।’ এর পর ১ জানুয়ারি বছরের প্রথম দিনই ফেসবুকে রক্তাক্ত দাগের বিছানার ছবি পোস্ট করেন, যা নিয়ে হইচই পড়ে যায় দেশের বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে। সংসার ভাঙার গুঞ্জন আরও জোরালো হয়। একই দিন অন্য স্ট্যাটাসে পরী তার ওপর গায়ে হাত তোলার মতো অভিযোগও করেন স্বামী রাজের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে রাজ বলেন, ‘আমি এখন চুপচাপ আছি। কিছু বলতে চাইছি না। এই পরিস্থিতিতে আমার এখন একা থাকা দরকার। পরে এসব ব্যাপারে কথা বলব।’ আত্মপক্ষ সমর্থন না করলে ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ থেকে যায় কিনা, তা জানতে চাইলে রাজ বলেন, ‘ভুল বুঝলে বুঝুক। তবে আমি স্পষ্ট বলি- আমি কোনো ভুল করিনি।’ তাদের সম্পর্ক যে আর টিকছে না, সেটিও স্পষ্ট করেন রাজ- ‘না, আর হবে না (জোড়া লাগবে না)।’ ফেসবুকে পরীমনির পোস্ট করা ছবি ও স্ট্যাটাসকে ইঙ্গিত করে রাজ বলেন, ‘মাই বেডরুম ইজ প্রাইভেট, ভেরি প্রাইভেট। নট ফর পাবলিক। বাট আমার বেডরুম নিয়ে সবাই মজা নেয়, নিচ্ছে।’ এর পর মঙ্গলবার ভোর ৪টা ৪৮ মিনিটে রাজ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন— ‘হ্যালো গডফাদারস অ্যান্ড গং। আই ওয়ান্ট টু নো ইউ গাইজ। আই লাইভ ইন ঢাকা, আই উড লাভ টু চিয়ার্স।’ রাজের পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে, তিনি হয়তো হুমকি পেয়েছেন বা পাচ্ছেন। তার জবাবেই এসব কথা লিখেছেন। এবং সেই উড়ো হুমকিদাতাদের সরাসরি দেখেও নিতে চান রাজ। পরীমনি ও শরীফুল রাজ দুজনের ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের সম্পর্কে চিড় ধরেছে কয়েক মাস আগে। সন্তান পৃথিবীতে আসার পরও কয়েক মাস ভালো ছিলেন। এরপর টুকটাক কথা-কাটাকাটি হতো। তারপর সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে।
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কমে যাওয়ার কারণে দুজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। দুজনের প্রতি অবিশ্বাসও তৈরি হয়। সন্দেহ করা শুরু করেন একে অপরকে। তারপরও বারবার চেষ্টা চলে সম্পর্ক চালিয়ে নেওয়ার। কিন্তু একেবারেই যখন সম্ভব হচ্ছিল না, তারা সিদ্ধান্ত নেন, এই ধরনের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার চেয়ে আলাদা থাকা ভালো। রাজের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পরীমনি লিখেছেন— ‘একটা সম্পর্কে পুরোপুরি সিরিয়াস বা খুব করে না চাইলে একটা মেয়ে, বাচ্চা নেওয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কখনই। আমার জীবনের সবটুকু চেষ্টা যখন এই সম্পর্কটাকে ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখা, তখনই আমাকে পেয়ে বসা হলো। যেন, শতকোটি বার যা ইচ্ছে তাই করলেও সব শেষে ওই যে আমি মানিয়ে নেই, এটা রীতিমতো দারুণ এক সাংসারিক সূত্র হয়ে দাঁড়াল। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই সম্পর্ক এতদিন আমার এফোর্টে টিকে ছিল শুধু।` তবে এখন সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে দাবি করে পরীমনি লিখেছেন— ‘কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌঁছালে কোনো সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকে না। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়।’ সন্তানের দিকে তাকিয়ে সব ভুলে থাকার চেষ্টা করেছিলেন দাবি করে এ নায়িকা লেখেন, ‘রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বারবার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্য পড়ে থাকি। কিন্তু তাতে কি আসলেই আমার বাচ্চা ভালো থাকবে! না । একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গল এর জন্যেই আলাদা হয়ে গেলাম।’