প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৩, ০২:২৭ এএম
নামটি শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে অনিন্দ্য সুন্দরী এক নারীর প্রতিচ্ছবি। ভৌগোলিক সীমানা পেরিয়ে তার রূপের রশ্মিতে মগ্ন করেছেন বিশ্ববাসীকে। শুধু রূপেই নয়, গুণেও মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তিনি। যার রূপে আকৃষ্ট হয়েছিলেন সে সময়ের রাজা-বাদশারা। বলছি, মিসরের প্রভাবশালী ও সুন্দরী রানী ক্লিওপেট্রার কথা।
শুরুতে ক্লিওপেট্রার কথা বলার একটা বিশেষ কারণ আছে। আমাদের দেশেও একজন অভিনেত্রী, যার রূপের সৌন্দর্য ও অভিনয় দক্ষতা ভৌগোলিক সীমানা ছাড়িয়ে জয় করেছেন দুই বাংলা। যার জন্য এত কথা, এত উপমা তিনি আর কেউ নয়, তিনি হচ্ছেন চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী জয়া আহসান।
জয়া আহসানের প্রাপ্তির হাল খাতা প্রাপ্তিতে পরিপূর্ণ। রংধনুর সাত রং যেমন থরে থরে সাজানো, তেমনি এই অভিনেত্রীর ক্যায়িরারও গোছানো। অনন্য নিপুণ অভিনয় দক্ষতায় এই বাংলা কাঁপিয়ে যিনি ওপার বাংলায় তারকা খ্যাতি পেয়েছেন। তার ক্যারিয়ারে বাধা হতে পারেনি কাঁটাতারের বেড়া। দেশে চারবার সেরা অভিনেত্রী হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গেরও এ সময়ের সেরা অভিনেত্রী তিনি। তিনি এখন দুই বাংলার। দুই বাংলা এখন জয়াময়।
বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সরকারি অনুদানের ‘অলাতচক্র’ ও ‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমা দুটি। ‘অলাতচক্র’ হতে যাচ্ছে বাংলা ভাষায় নির্মিত প্রথম থ্রিডি চলচ্চিত্র। এটি নির্মিত হয়েছে কথাসাহিত্যিক আহমেদ ছফার উপন্যাস অলাতচক্র অবলম্বনে। নির্মাতা হাবিবুর রহমান। এটি ১৯ মার্চ দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। যেখানে উপন্যাসের নায়িকা তায়েবার চরিত্রে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী।
জয়া আহসানের অভিনয় শুরুর আগে নাচ ও গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। ছবি আঁকাও শিখেছিলেন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগে ছোট পর্দায় নিয়মিত ছিলেন তিনি। তবে চলচ্চিত্রে অভিষেক হওয়ার পর ধীরে ধীরে ছোট পর্দার কাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন জয়া। বর্তমানে চলচ্চিত্রের কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার মাধ্যমে জয়ার অভিষেক হয়। এরপর দীর্ঘ ছয় বছর পর নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘ডুবসাঁতার’ চলচ্চিত্রে দেখা যায় তাকে। এরপরের গল্পটা শুধু এগিয়ে যাওয়া। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি এই অভিনেত্রীকে। তার ঝুলিতে রয়েছে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুটি বাচসাস পুরস্কার, সাতটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ও দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ছাড়াও দেশি-বিদেশি অসংখ্য পুরস্কার।
সাজেদ/