• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

রাজের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ পরীমনির

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৩, ০১:১৮ এএম

রাজের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ পরীমনির

বিনোদন ডেস্ক

বিয়ের মাত্র এক বছরের মাথায় ভেঙে যাচ্ছে ঢাকাই সিনেমার সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি ও উঠতি অভিনেতা শরীফুল ইসলাম রাজের সংসার।

শুক্রবার মধ্যরাতে ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে পরী জানান, রাজকে তার জীবন থেকে আজীবনের জন্য ছুটি দিয়ে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘হ্যাপি থার্টি ফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নাই।’

জানা গেছে, এ পোস্ট দেওয়ার আগে তিনি সন্তান নিয়ে রাজের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তার বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। যদিও এ বাসাটি পরীই ভাড়া নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তার ঘনিষ্ঠরা। সে হিসাবে বলা যায়, নিজের বাসা থেকে নিজেই বেরিয়ে এসেছেন তিনি।

রোববার বিকালে ফেসবুকে পরীমনি একটি পোস্ট দেন।  এ সময় তিনি রাজের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলারও অভিযোগ করেন।

ফেসবুকে পরীমনি লিখেছেন, ‘একটা সম্পর্কে পুরোপুরি সিরিয়াস বা খুব করে না চাইলে একটা মেয়ে বাচ্চা নেওয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কখনোই। আমার জীবনের সবটুকু চেষ্টা যখন এই সম্পর্কটাকে ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখা, তখনই আমাকে পেয়ে বসা হলো। যেন শতকোটিবার যা ইচ্ছে তাই করলেও সব শেষে ওই যে আমি মানিয়ে নিই, এটা রীতিমতো দারুণ এক সাংসারিক সূত্র হয়ে দাঁড়াল। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, আমাদের এই সম্পর্ক এত দিন আমার অ্যাফোর্টে টিকে ছিল শুধু। কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌছালে কোনো সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকে না। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়।

পরীমনি বললেন, ‘রাজ্যের (পরীমনি ও রাজের সন্তান) দিকে তাকিয়ে বারবার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্য পড়ে থাকি। কিন্তু তাতে কি আসলেই আমার বাচ্চা ভালো থাকবে! না। একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছ থেকে দেখে দেখে ও (রাজ্য) বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গলের জন্যই আলাদা হয়ে গেলাম।’

তিনি আরও বলেন, রাজ এখন শুধু আমার প্রাক্তন’ই না,আমার ছেলের বাবাও। তাই রাজ্যের বাবার সন্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কিছু বলছি না আমি। তবে আমার উপর তার আর তার পরিবারের কোন অসুস্থ আচরণ বা হার্মফুল কিছু করার চেষ্টা করলে আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।

আর্কাইভ