প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২, ০৪:০০ এএম
সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য নবাব আলী আব্বাস আলী খানের পুত্র নবাব আলী হাসিব খানের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলেছেন ঢাকাই সিনেমার নবাগত চিত্রনায়িকা নিশাত সালওয়ার। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে ‘বীরত্ব’ সিনেমার অভিনেত্রী সালওয়া লিখেছেন, ‘সিলেটের অতি স্বনামধন্য নবাব পরিবারের সন্তান সাবেক সংসদ সদস্য নবাব আলী আব্বাস আলী খানের পুত্র নবাব আলী হাসিব খান আমাকে উপর্যুপরি প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। আমার কোনো ক্ষতি হলে তিনি দায়ী থাকবেন।’
তবে সালওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নবাব আলী হাসিব খান। তিনি জানান, সালওয়াকে তিনি কোনো হুমকি দেননি।
ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে জানতে চাইলে সালওয়া বলেন, ‘হাসিবের সঙ্গে আমার ছয় মাসের প্রেমের সম্পর্ক। হাসিব কিছুদিন ধরে আমাকে মানসিকভাবে নানা ধরনের চাপ দিয়ে আসছিলেন। সিনেমা মুক্তির পর থেকে আমাকে আরও বেশি চাপ দিচ্ছেন। এখনই আমাকে বিয়ে করতে চান। এ ছাড়া আমি কোথায় যাচ্ছি, কী করছি, সবই তাকে প্রতিমুহূর্তে জানাতে হবে। এ সব চাপ আমি আর নিতে পারছি না। এ কারণে আমি তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইনি। এটি শোনার পর থেকে সে আমাকে মেরে ফেলাসহ নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসিব হুমকি দিচ্ছেন, তার কাছে নাকি আমার বিশেষ ভিডিও ফুটেজ, স্টিল ছবি আছে। সেগুলো সে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেড়ে দেবে। আমি আর এ সব হুমকি নিতে পারছি না।’
সালওয়া জানান, এর প্রতিকার পেতে তিনি হাসিবের পরিবারের সদস্যদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। পরিবার আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি। তিনি বলেন, ‘প্রেমের বিষয়টি হাসিবের পরিবার জানত। এ ঘটনার পর তার ছোট বোনকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বলেছেন, রাগের মাথায় হাসিব এ সব করছে, ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কোনো কিছুই ঠিক হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপে একের পর এক হুমকি দিয়েই যাচ্ছেন।’
আইনের আশ্রয় নেবেন কি না জানতে চাইলে সালওয়া বলেন, ‘এ সব হুমকির প্রমাণ আমার কাছে আছে। আমি শিগগিরই আইনের আশ্রয় নেব।’
তবে মেরে ফেলার কথা, ভিডিও ফুটেজ, ছবি ছেড়ে দেয়ার কথা অস্বীকার করে হাসিব বলেন, ‘আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। আমাদের দুজনের ঝগড়া হয়েছে। ঝগড়া হতেই পারে। আমি মেরে ফেলার কে? আমার বাবা রাজনীতি করেন। একটা সম্মান আছে। এ ছাড়া আজ পর্যন্ত আমার নামে কোনো ক্রাইম নাই, পাবেনও না। আর ব্যক্তিগত ভিডিও আমি কাকে দেব, কোথায় ছাড়ব? এটা কোনো দিন হয়?’
হাসিবের অস্বীকারের ব্যাপারে সালওয়া বলেন, ‘এখন এটা বললে তো হবে না। কারণ, হুমকি দিয়ে পাঠানো সব ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে।’
জেইউ