বিনোদন ডেস্ক
গান দিয়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার দর্শকদের। তার গান শুনে হাজারও প্রেমিক-প্রেমিকা প্রেমে পড়েছেন। আবার তার গেনে বিয়ের আনন্দে নেচে গেয়ে আনন্দ করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলা গানের অপ্রতিরোধ্য এক অধ্যায়। তার মৃত্যুতে গভীর শোক নেমে এসেছে ভারতসহ বাংলাদেশেও।
বাপ্পি লাহিড়ীর গানের পাশাপাশি স্টাইল করতে পছন্দ করতেন। তার অলংকার দেখে সবার মনেই ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্ন উঠত। অনেক প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন তিনি। নিজের ভালো লাগার বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন সবসময়।
গলায় সবসময় পরতেন একাধিক স্বর্ণের চেইন, চোখে সানগ্লাস, হাতে আংটি। এমন স্টাইলের জন্য তাকে সবাই বলিউডের 'গোল্ডেন বয়' হিসেবে চিনত। বাপ্পি লাহিড়ীর এমন জীবন নিয়ে গর্ব করত তার পরিবার। তার এমন জীবন যাপন নিয়ে প্রথমে একটু অসম্মতি দেখালেও পরে তার ফ্যাশনই হয়ে ওঠে সবার গর্বের আরেকটি কারণ। বাপ্পি লাহিড়ীর ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী এক সাক্ষাৎকারে বাবাকে নিয়ে বলেন, 'যখন ছোট ছিলাম, ভাবতাম সবাই কেন আমার বাবার সাজপোশাক নিয়ে কথা বলে। এখন অতীত ফিরে দেখলে মনে হয়, বাবা তার ছাপ রেখে গিয়েছেন। কারণ, বাবার এমন স্টাইলের কারণে মুম্বাইতে বাঙালিদের আলাদাভাবে আমাদের সম্মান করা হতো।
৭০-এর দশকে সাজপোশাকের ক্ষেত্রে পরিচিত স্টাইলের বাইরে এক নিজস্ব ধারা তৈরি করেছিলেন বাপ্পি। বেল বটম, টান টান শার্টের ভিড়ে নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন আলাদ পর্যায়ে। ছেলে বাপ্পা বাবার এমন অর্জন নিয়ে আরও বলেন, ‘অনেকেই এখন বাবাকে অনুসরণ করে স্বর্ণের চেইন পরেন। সানগ্লাস পরেন। আমি জানতাম আমার বাবা একজন বিশিষ্ট মানুষ। আমি তাকে নিয়ে গর্বিত।’
বাবার মতো সঙ্গীত নিয়েই আছেন বাপ্পা লাহিড়ী। সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি কিছু গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। তবে বাবার মতো হওয়ার স্বপ্ন কখনও ছিল না তার। বাপ্পার কথায়, 'বাবার মতো আমি কোনোদিনও হতে পারব না। তিনি ছিলেন ঈশ্বরের প্রদত্ত ভালোবাসা। তার এক বিন্দুও আমি হওয়ার যোগ্যতা রাখি না।'
বাপ্পি লাহিড়ী ১৯৭৭ সালে চলচ্চিত্র প্রযোজক চিত্রানী লাহিড়ীকে বিয়ে করেন। তাদের সুখের এই পরিবারে এক ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী এবং মেয়ে রীমা লাহিড়ী।
এমএএম
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন