• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কে বলার যোগ্যতা আমার নেই: ফেরদৌস ওয়াহিদ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২, ০৯:৫২ পিএম

লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কে বলার যোগ্যতা আমার নেই: ফেরদৌস ওয়াহিদ

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রায় এক মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। লতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে উপমহাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে। যেই শোকের প্রভাব পড়েছে দেশের সঙ্গীত অঙ্গনেও।


কিংবদন্তি এই সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন দেশের আরেক কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। তিনি শুরুতেই বলেন, ‘আরও একটি বিমর্ষ সকালের শুরু। লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কে বলার যোগ্যতা আমার নেই।’ এরপর তিনি লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কে সিটি নিউজকে বলেন, 'আমার বোধ হবার পর থেকেই তাকে শ্রদ্ধা করতে শুরু করেছি। বুঝে ওঠার আগে থেকেই তার গান আমার কানে বাজতো। যখনই রেডিওতে তার গান আমি শুনতাম মনে হতো কোনো পাখির কণ্ঠ শুনছি। তার মৃত্যু কখনও সমাপ্তি হতে পারে না।

তিনি আমাদের মাঝে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। কারণ তিনি ছিলেন বিশ্ব সঙ্গীতের একজন শুভেচ্ছা দূত। তার মতো সঙ্গীতশিল্পী এ জনমে আর পাবে না সঙ্গীতবিশ্ব। আমি তাকে উপমহাদেশের সবার ওপরে রাখব।' এরপর লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেলে কী করতেন জানতে চাইলে ফেরদৌস ওয়াহিদ আরও বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে কাজের সুযোগ পাব- এটি কখনও স্বপনেও ভাবিনি। তবে বিধাতা যদি কখনও সেই সুযোগ আমাকে দিতেন, তাহলে আমি তার সঙ্গে গান গাইতাম না। কেন গাইতাম না তার ব্যাখ্যা আমার কাছে আছে।’ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তার পাশে দাঁড়ানোর যোগ্যতাই রাখি না। আর তার সঙ্গে গান গাইব কী ভাবে। তিনি কোথায় আর আমি কোথায়। আমি তাকে যেই স্থানে রেখেছি, সেই আমি নিজেকে না শুধু অন্য কাউকে কোনোদিন রাখব না। তাই লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে গান গাওয়ার সুযোগ আসলেও আমি গাইতাম না।’       


করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় গত ১১ জানুয়ারি লতাকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। প্রথম থেকেই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। ৩০ জানুয়ারি শিল্পীর কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত আর লড়তে পারলেন না। চলে গেলেন না ফেরার দেশে।     

মাহি/ডাকুয়া
আর্কাইভ