বিনোদন ডেস্ক
থেমে গেল কোকিলকণ্ঠের অধিকারী কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরারের জীবন। দীর্ঘ ৭ দশক ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গীতভক্তদের সুরের মায়াজালে বেঁধে রেখে চিরবিদায় নিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে প্রায় চার সপ্তাহ মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই শিল্পী। রোববার (৬ জানুয়ারি) সকালে সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পিটিআই।
কিংবদন্তি এই সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুতে সঙ্গীতঙ্গনসহ সকল মানুষের মনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। লতার সঙ্গে বেশ কিছু গানে সহ-শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দেয়া ভারতের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কুমার শানুও ভেঙে পড়েছেন তার মৃত্যুর খবরে। যিনি এই কিংবদন্তির সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন বেশকিছু গানে। তার মধ্যে ‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’, ‘পেয়ার কো হো জানে দো’র মতো কালজয়ী গান।
ভারতীয় গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাতকারে কুমার শানু বলেন, ‘অনেক গান গেয়েছি লতাজির সঙ্গে। মানুষের মন জয় করতে পেরেছে সেই গানগুলো। আমার মতে, তার মতো অভিজ্ঞতা গোটা বিশ্বে আর কারও নেই।’
কুমার শানু লতা মঙ্গেশকরকে সবসময় দেবীর মতো শ্রদ্ধা করতেন। নিজের সঙ্গীতের শিক্ষা গুরুকে হারিয়ে একরকম ভেঙে পড়েছেন তিনি। তাই তো এই হারানোর বেদনা থেকে নিজেকে কবে মুক্তি দিতে পারবেন সে নিয়েও জানিয়েছেন নিজের সামাজিকমাধ্যমে। শানু আরও বলেন, ‘তার চলে যাওয়ায় শুধু আমাদের ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি হলো না, গোটা দুনিয়া এক কিংবদন্তি কণ্ঠস্বর হারাল।’
নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন নবতিপর শিল্পী। প্রথম থেকেই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। ৩০ জানুয়ারি শিল্পীর কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যায় শেষ পর্যন্ত লড়াই থেমেই গেল লতার।
এমএএম/ডাকুয়া
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন