বিনোদন প্রতিবেদক
মডেল-অভিনেত্রী সুবাহ আর ইলিয়াসের বিয়ে- ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচিত। এর মাঝেই ইলিয়াসের দ্বিতীয় স্ত্রী কারিন নাজ দাবি করেন যে, তাকে ডিভোর্স না দিয়ে ইলিয়াস সুবাহকে বিয়ে করেছেন। এরপর সিটি নিউজ ঢাকার কাছে কারিনের চারটি রেকর্ড আসে। রেকর্ডের কথাগুলো জানার জন্য ইলিয়াসের তৃতীয় স্ত্রী সুবাহর সঙ্গে যোগাযোগ করলে সিটি নিউজকে সুবাহ আরেকটি রেকর্ড পাঠান।
যেখানে সুবাহ বলেন, 'ইলিয়াসের যেই রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেটি আমি নিজেই ইলিয়াসকে বলতে বলেছি। আমি ইলিয়াসকে বলি- কারিনকে কল দেও এবং কথাগুলো বলো। কারিনকে বলা ইলিয়াসের পুরো কথাটাই আমার শিখিয়ে দেয়া। যেন সে আমার স্বামী ইলিয়াসকে কোনোভাবে ব্লাকমেল করতে না পারে। কারণ সুইডেনে থেকে ওর কাজ শুধু ব্লাকমেল করা। এখন ও ভাইরাল হতে চায়। তাই মিডিয়াপাড়ার লোকজনদের ইলিয়াসকে আমার শিখিয়ে দেয়া কথাগুলোর রেকর্ড পাঠিয়ে বেড়াচ্ছে। এটা পুরোটাই নাটক। যা কারিন এখন সাজাতে চাইছে।'
এর আগে সন্ধ্যায় সিটি নিউজের কাছে সুইডেন থেকে ইলিয়াস ও কারিনের রেকর্ডটি কারিন নিজে পাঠান। যেখানে ইলিয়াস কারিনকে বলতে শোনা যায়। তবে কী ধরনের ফাঁদে পড়েছেন ইলিয়াস তা স্পষ্ট করে বলেননি কারিন নাজ। তবে ইলিয়াস-কারিনের কথোপকথনের চারটি অডিওতে ইলিয়াসকে বলতে শোনা যায় যে, কোনো কিছু করার পরিকল্পনা ছিল না। আমাকে বলা হয় তাকে বিয়ে করতে হবে। আমি যদি তার ওখানে না যাই তাহলে এটা-ওটা করবে। কালেমা পড়তে হবে এবং কোরআন শরিফ ছুঁয়ে বলতে হবে তার সঙ্গে সংসার করব এবং আরও অনেক কিছু বলে।
ওই রেকর্ডে আরও বলতে শোনা যায়, ওর খারাপ-খারাপ মানুষজনদের সঙ্গে ওঠাবসা। ও যে কোনো সময় আমাকে মেরে ফেলতে পারে। হঠাৎ করেই বিয়ের চাপ দেয়া হয়। এক দিন শুটিং শেষে যাই। যাওয়ার পর কোরআন শরিফ ছুঁয়ে অনেক কথাই জোর করে স্বীকার করানো হয়। আমি শুধু তোমাকে একটা ডিভোর্স পেপার পাঠিয়েছি। কিন্তু সেটি গ্রহণ হবে না। তবে ওই রেকর্ডে ইলিয়াস কারও নাম উল্লেখ না করলেও নেপথ্যে তার তৃতীয় স্ত্রী সুবাহ তা স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, আজ দুপুরে সুবাহ তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন- যেখানে তিনি লেখেন, ‘ডিভোর্স লেটার দেখেই জড়িয়ে ছিলাম আমি। তাও বৈধভাবে। ইভেন কারিন ও তার মা সুকন্যাকে, দিপাকেও আমি নিজেই সব খুলে বলেছি- আমরা দুজন বিয়ে করে ফেলব। ইলিয়াস আমাকে বিয়ে করতে চায়, আমিও চাই। তাও দুই মাস আগে।’
এখন যদি ওই মহিলারা অস্বীকার করেন যে, তারা কিছুই জানেন না! মানুষকে উল্টাপাল্টা মিথ্যা বলে। তাহলে আমার কাছে প্রমাণ আছে যে, ইনফর্ম করেছিলাম তাদের অনেক আগেই। আর যদি কোনো পুরুষের ক্ষমতা থাকে বউ পালার সে একের অধিক বিয়ে করতে পারে। আর এমন তো না যে ডিভোর্স না দিয়ে বাচ্চা রেখে বিয়ে করেছে ইলিয়াস।
আর আমি তো জানি ইলিয়াসের সঙ্গে কারিনই লিভ টুগেদার করেছিল। কারণ হলো ওই বিয়ের কোনো লিগাল কাবিননামাই নেই! এরপর হা হা হা ইমুজি দিয়ে সুবাহ লেখেন- ওই মেয়ে থাকে বিদেশে। তিন বছর ধরে বাংলাদেশে আসে না শুধু মোবাইলে মোবাইলে কথা বললে কি সংসার হয় নাকি?’
কারিন বাংলাদেশে একাধিক পুরুষের সঙ্গে অবৈধ প্রেমে লিপ্ত দাবি করে সুবাহ আরও বলেন, ‘ওই মেয়ে কারিন এবং তার মায়ের অনেক অবৈধ সম্পর্ক আছে বিদেশে এবং বাংলাদেশে। এটাও আমি জানি। সে মেন্টালি প্যারা দিত অলওয়েজ। এটা ইলিয়াসের সার্কেলের সবাই জানে যে, ওরা ম্যারেড লাইফে কখনও হ্যাপি ছিল না।
আর ওই মেয়ে তিন বছর ধরে বাংলাদেশে আসে না। ফিজিক্যাল রিলেশনও ছিল না। আমি তখন ইলিয়াসের ভালো বন্ধু ছিলাম। পরে আমাদের দুজনের ভালো লাগা থেকেই বিয়ের ডিসিশন নিয়ে আমরা ফ্যামিলিগতভাবে সবাইকে জানিয়ে যা করার করেছি। আমরা তো পাপ কিছু করিনি।’
এরপর দুজনের ভক্ত-অনুরাগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুবাহ লিখেছেন, ‘আমাকে আর ইলিয়াসকে যদি আপনাদের ভালো না লাগে প্লিজ ইগনোর করতে পারেন। আমাদের দুজনকে ফলো করার দরকার নাই। লাইক দেয়ার দরকার নাই। আমরা দুজন দুজনের সঙ্গে ভালো আছি সংসার নিয়ে। আলহামদুলিল্লাহ!’
এমএএম/ডা
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন